লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।
এর আগের খবরে জানানো হয়, ইসরায়েলের হামলায় হেজবুল্লাহর একজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ বিষয়ে এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, তারা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ করে হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় নিহতদের মধ্যে হেজবুল্লাহর এক ঊর্ধ্বতন কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই ইরান সমর্থিত রাদোয়ান ফোর্সেসের সদস্য।
আইডিএফের এক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক ভিডিও বার্তায় জানান, নিহতরা দানিয়াহর একটি আবাসিক ভবনের ভূগর্ভস্থ কক্ষে জড়ো হয়েছিলেন। তারা লেবানের সাধারণ মানুষকে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
এর আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসিত জানায়, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলায় ১২ জন নিহত ও ৬৬ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ইব্রাহিম আকিল ছাড়া বাকি ১১ জনের ১০ জনই হেজবুল্লাহর বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডার।
নিহত আকিল হেজবুল্লাহর হামলার সময় হেজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করছিলেন।
নিহত আকিল ১৯৮০-এর দশকে হেজবুল্লাহতে যোগদান করেন। তিনি লেবাননের বাইরে অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতেন বলে জানায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে দুটি ভবন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই চাপা পড়েন।
লেবাননের কর্মকর্তারা জানান, এর আগে নগরীর দক্ষিণ শহরতলিতে ইরান-সমর্থিত ঘনবসতিপূর্ণ দাহেহ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগের সপ্তাহে লেবাননে সম্বলিত পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে অন্তত ৩২ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও কয়েক হাজার নাগরিক। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হেজবুল্লাহ। যদিও ইসরায়েল তা অস্বীকার করে।