সিরিয়া থেকে কুর্দিদের হটাতে একমত হয়েছে তুরস্ক ও রাশিয়া। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তায়েফ এরদোগান এবং রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর তারা এই সিদ্ধান্তে পোঁছান।
আর এই সমঝোতাকে ঐতিহাসিক চুক্তি বলে সম্বোধন করছে দেশ দুটি। এই চুক্তির আওতায় সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাশিয়ান মিলিটারি পুলিশ ও তুরস্কের বর্ডার গার্ড একসঙ্গে কাজ করবে।
জানা গেছে বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে। চুক্তি অনুযায়ী সিরিয়ার মানবিজ এবং তাল রিফাত শহর থেকেও কুর্দি যোদ্ধাদের অপসারণ করা হবে।
সিরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই চুক্তি করলো দেশ দুটি। এর ফলে এই অঞ্চলে তুরস্ক ও রাশিয়ার প্রভাব আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
চুক্তির কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে তুরস্ক সরকার জানায়, 'নতুন করে সেফ জোনে হামলার কোন প্রয়োজন নেই। যুদ্ধবিরতির ফলে কুর্দিরা এই অঞ্চল ছেড়ে চলে গেছে।'
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় আগে থেকেই আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া। আর তুর্কি বাহিনীর হামলার পর থেকে সংঘর্ষ রোধে রাশিয়া তাদের মিলিটারি পুলিশদের সীমান্ত অঞ্চলে মোতায়েন করে রেখেছে।
এ দিকে এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন সিরিয়ান সরকার প্রধান বাশার আল আসাদ। তিনি সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করায় রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকে সিরিয়ায় অবস্থিত কুর্দি বাহিনীর ওপর হামলা চালায় তুর্কি বাহিনী। জাতিসংঘের তথ্য মতে, হামলার পর থেকে এক লাখ ৭৬ হাজার লোক সিরিয়া থেকে পালিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ হাজার শিশু রয়েছে।
আর যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের (এসওএইচআর) মতে তুর্কি হামলায় ২৫৯ জন কুর্দি যোদ্ধা, ১৯৬ জন তুর্কি সমর্থিত সিরিয় বিদ্রোহী এবং সাত তুর্কি সেনা নিহত হয়েছে। আর প্রায় ১২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।