ইসলামি শরিয়াহ আইন লঙ্ঘনকারীদের নারী স্কোয়াড দিয়ে বেত্রাঘাত করার ব্যবস্থা চালু করল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া।
অবিবাহিত নারী-পুরুষ একটি হোটেলে রাত্রি যাপন ও অবৈধ সম্পর্কের দায়ে বেত্রাঘাত করেন নারী স্কোয়াডের এক নারী সদস্য। ওই নারী ও পুরুষকে যথাক্রমে ১০০ ও ৩০টি করে বেত্রাঘাত করা হয়। এতে দুজনেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা বোরকা পরিহিত এক নারী হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। আর তাকে বেত্রাঘাত করছেন বোরকা পরিহিত আরেক নারী। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে শরিয়া আইন মোতাবেক প্রকাশ্যে এই শাস্তিটি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বান্দা আচেহ শরিয়া পুলিশ প্রধান তদন্তকারী জাকওয়ান ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ওই নারী খুব ভাল কাজ করেছে। আমরা তাকে শারীরিক মানসিকভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তার কৌশল অনেক ভালো।
দেশটিতে মদপান, বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক ও সমকামী সম্পর্কের জন্য জনসম্মুখে বেত্রাঘাত করা হয়। তবে আগে শুধু পুরুষরা এই বেত্রাঘাত করতেন। কিন্তু বর্তমানে নারীরাও বেত্রাঘাত করতে পারবেন। বহু বছরের প্রচেষ্টায় প্রথম কোনো নারী সদস্য গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।
আগে থেকেই বেত্রাঘাতের বিষয়টিকে নৃশংস ও বর্বর বলে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ইন্দোনেশিয়ার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেন, মানুষকে আটকে রেখে শাস্তি দেওয়া বর্বর অনুশীলনের চর্চা।
এদিকে, জনসম্মুখে বেত্রাঘাত না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোডো।