রাখাইনে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ৪০, বাড়ার শঙ্কা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের আরাকান আর্মি (এএ) নিয়ন্ত্রিত রামরি টাউনশিপের কিয়ুকনিমাও গ্রামে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ ৪০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এ হামলায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ হামলা চালানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান হামলায় কিয়ুকনিমাও অঞ্চলে অন্তত ২০ জন বাসিন্দা আহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর-দক্ষিণ ও মঞ্চলীয় এলাকায় অন্তত ৫০০ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। আহতদের মধ্যে শিশু, নারী ও বয়স্করা রয়েছে।

বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বোমা হামলার ফলে ছড়িয়ে পড়া আগুন দ্রুত ঘনবসতিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে শত শত ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলে। টাউনশিপে আরাকান আর্মি ও জান্তাদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে বেশিরভাগ মানুষই কিউকনিমাওয় অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কিয়াউকনিমাওয়ের এক বাসিন্দা বৃহস্পতিবার দ্য ইরাবতিকে বলেছেন, "এই হামলায় আহত মানুষের সংখ্যা নিহতের চেয়ে বেশি। কিন্তু তাদেরকে সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নেই। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।"

এএ গত বছরের ১১ মার্চ মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলের দ্বীপ রামরি টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নেয়। যুদ্ধের পরিস্থিতি না থাকলেও জান্তা বাহিনী অঞ্চলটিতে কয়েকদিন পর পর বিমান হামলা চালায়। 

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকে দেশজুড়ে জান্তা-বিরোধী ব্যাপক সশস্ত্র বিদ্রোহের শুরু হয়।

আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা এএফপিকে বলেছেন, বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রাখাইনের রামরে দ্বীপের কিয়ুকনিমাও শহরে সেনাবাহিনীর বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে ওই এলাকায় ধরে যাওয়া আগুনে ৫ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে গেছে।

তিনি আক্রমণটিকে "কাপুরুষোচিত" বলে উল্লেখ করে জানান, "বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মারাত্মক বিমান হামলা শুরু করা একটি নির্মম যুদ্ধাপরাধ"।