চীন করোনাভাইরাসের দুটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) চীনের স্টেট কাউন্সিলের জয়েন্ট প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ম্যাকানিজম কর্তৃক এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ভ্যাকসিন দুটি চীনা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস ও বৈইজিং ভিত্তিক সিনোভাক বায়োটেক তৈরি করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিনগুলো অণুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া) থেকে তৈরি করা হয়, যা শারীরিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মারা যায়। টিকা দেওয়ার পরে ভ্যাকসিন অ্যান্টিজেনগুলো ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করে দেয় বা রোগ সৃষ্টি করতে পারে না।
চীনা বিজ্ঞানীরা পাঁচটি পদ্ধতির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন— নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সাব ইউনিট ভ্যাকসিন, অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিন, নিউক্লিক এসিড ভ্যাকসিন এবং ভেক্টরের মতো অ্যাটেনিউটেড (দুর্বল) ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ব্যবহার করে আরও এক প্রকার ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে।
এর মধ্যে চীনের একাডেমি অফ মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেসের তৈরি অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিনটি আরও আগে অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমানে এ ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে আছে।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত দেশে করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষা করবে চীন
করোনার বিস্তার রোধে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যা শিক্ষণীয়
পৃথিবীর যেসব অঞ্চল এখনো করোনামুক্ত
ক্ষমতার অন্দরমহলে করোনার আধিপত্য!
ক্লোরোকুইন ওষুধে কি করোনা নিরাময় সম্ভব?
বন্যপ্রাণীর অবাধ বাণিজ্য, ভয়াবহ মহামারির দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব