গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) রোগী শনাক্ত হয় চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে। এরপর গত সাড়ে চার মাসে ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। ১৯৩০ সালের বিশ্ব অর্থনীতিতে যে মহামন্দা হয়েছিল, করোনাকালে সে মন্দাকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
চীনের পর ইউরোপের দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দেশটি। এছাড়া এশিয়ার দেশগুলোতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এখনো কিছুটা কম আছে।
আশার কথা হচ্ছে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর তুলনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ও মিটারের তথ্য অনুযায়ী, সাতটি দেশ-অঞ্চলে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত সব রোগী সুস্থ হয়েছেন এবং নতুন করে করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। এদের মধ্যে ফ্যারো আইল্যান্ডে ১৮৭ জন, নিউ ক্যালেডোনিয়ায় ১৮ জন, ফকল্যান্ড আইল্যান্ডে ১৩ জন, গ্রীনল্যান্ডে ১১ জন, পাপুয়া নিউ গিনিতে ৮ জন, সেন্ট বার্থে ৬ জন ও অ্যাঙ্গুইলায় ৩ জন করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।
এছাড়া বেলিজ ও সুরিনামে করোনা সংক্রমণে নতুন কোনো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, চীনে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। দেশগুলোতে দিন দিন বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা। এছাড়া আমেরিকাতে মৃত্যুর সংখ্যার পাশাপাশি সুস্থতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৪১ লাখ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি। এছাড়া বিশ্বে করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২৮ জনের। এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৬৫০ জন করোনা রোগী।