প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকার পর ৪ অক্টোবর থেকে পবিত্র উমরা শুরু হবে। উমরা পালনে আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত অ্যাপ ইতামারনা (Eatmarna, اعتمرنا) উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) অ্যাপ্লিকেশনটি চালুর প্রথম ৫ ঘণ্টায় ৭২ হাজার উমরা যাত্রী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
অ্যাপ্লিকেশনটি প্রথম পর্যায়ে অ্যাপস্টোরে (apple/Iphone) রিলিজ করা হয়েছে। এখনও প্লে-স্টোরে (Android) আসেনি। অচিরেই অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন অবমুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
হারামাইন সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের সঙ্গে সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী শেখ সালেহ বেনতেন এবং মসজিদে হারামের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া উমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও উমরা ব্যবস্থাপনাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়।
অ্যাপের মাধ্যমে সফলভাবে উমরার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে অনেককে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে দেখা গেছে। উমরা চালুর প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র সৌদি আরবের নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিরা আবেদন করতে পারবেন।
এদিকে হারামাইনের ওয়েবসাইটে ‘মক্কার রাস্তাগুলো শীঘ্রই আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছে’, শীঘ্রই মসজিদে হারাম ইবাদতকারীদের পদচারণায় ভরপুর হবে- ইনশাআল্লাহ’ পোস্ট করে মানুষকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উমরা পালনের জন্য মাত্র তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে উমরার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে। প্রথম দফায় দিনের ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছয় হাজার হাজি উমরা পালন করতে পারবেন। প্রতি ভাগে এক হাজার হাজিকে উমরা পালনের সুযোগ দেওয়া হবে।
হারামাইন সূত্রে জানা গেছে, উমরার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, উমরা পালনের সময় ও মসজিদে হারামের কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হবে- তা বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
উমরা চালুর প্রথম পর্যায়ে মসজিদে হারামের মোট ধারণক্ষমতার ৩০ শতাংশ মানুষ উমরার সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয় ধাপে ১৮ অক্টোবর থেকে ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ হাজার মানুষ উমরা পালন ও ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের সুযোগ পাবেন। তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সকল দেশের মুসলিমদের জন্য বায়তুল্লাহ শরীফ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ উমরা ও ৬০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
চতুর্থ পর্যায় অর্থাৎ সর্বশেষ ধাপে, করোনা মহামারি দূর হওয়ার পর মসজিদে হারাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।