দুবাইয়ে বিশ্বে প্রথমবারের মতো পবিত্র কোরআনের আলোকে নির্মিত হয় ‘কোরআন পার্ক।’ ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ দুবাইয়ের আল খাওয়ানিজ অঞ্চলে ৬৪ হেক্টর জমির ওপর পার্কটি উদ্বোধন করা হয়।
সেই কোরআন পার্কের মতো বিশ্বে প্রথমবারের মতো ‘কোরআনিক ভিলেজ’ বানাচ্ছে মালয়েশিয়া। পুত্রাজায়াতে প্রায় ২০ একর জায়গাজুড়ে নির্মিতব্য এই প্রকল্পে থাকবে- পাঁচ হাজার মুসল্লির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি মসজিদ, একটি কোরআন বিজ্ঞান ও গবেষণাকেন্দ্র, একটি ছাত্রাবাস, অডিটোরিয়াম, একটি বাজার এবং একটি শিল্পকলা কেন্দ্র।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের খবরে বলা হয়েছে, ছোট কোনো প্রকল্প নয় কোরআনিক ভিলেজ। প্রায় ১৫০ মিলিয়ন রিঙ্গিত ব্যয়ে নির্মাণ হবে কোরআনিক ভিলেজ। ইতোমধ্যে নকশা অনুমোদন ও জমি নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ইসলাম ধর্ম, ইসলামি জীবন ব্যবস্থা, বিখ্যাত মুসলিমি মনীষীদের নিয়ে গবেষণা ও কোরআন সম্পর্কে মানুষকে প্রকৃত ধারণা দিতে এই অভিনব পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
মেগা প্রকল্পটির নকশা প্রকাশ করে মালয়েশিয়ার ফেডারেল টেরিটরিমন্ত্রী আনোয়ার মুসা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও টুইটারে বলেন, ‘কোরআনিক ভিলেজের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে প্রকল্পটিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে এবং এর অর্থায়ন অনুমোদন করেছে। ২০২১ সালে এর কাজ শুরু করতে পারব- ইনশাল্লাহ।
এটি বিশ্বের একমাত্র কোরআনিক ভিলেজ হতে যাচ্ছে বলে দাবি মালয়েশিয়ার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মালয়েশিয়ার পর্যটন খ্যাতি আরও বেড়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের মত।
কোরআনিক ভিলেজটি যথাক্রমে মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইরাক, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ব্রুনাইয়ের জন্য উৎসর্গ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আনোয়ার মুসা।
মন্ত্রী আনোয়ার মুসা আরও জানিয়েছে, কোরআনিক ভিলেজে সব ধর্মের মানুষ গবেষণার কাজে আসতে পারবেন।