পবিত্র উমরা পালন শেষে তিন যাত্রী দেশে ফিরে না আসায় জামানতসহ সাদমান ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নম্বর-১১৪৪)-এর লাইসেন্স বাতিল করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন মতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মো. রিয়াজুল হক, শেখ মিজানুর রহমান ও মো. আল আমিন নামের তিন উমরাযাত্রীকে পবিত্র উমরা পালনের জন্য সৌদি আরব নিয়ে দেশে ফেরত আনা হয়নি। বর্ণিত উমরা যাত্রীদের দেশে ফেরত না আনার কারণ অবহিতকরণ সম্পর্কে কারণ দর্শানো হলে সাদমান ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সৌদি আরব গমনে সহায়তা করেছে মর্মে স্বীকারোক্তি দেয়।
বিষয়টি জাতীয় হজ ও উমরা নীতি-২০১৯ এর লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাছাড়া এজেন্সি কর্তৃক প্রেরিত উমরাযাত্রীকে দেশে ফেরত আনা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিধান রয়েছে। সে হিসেবে সাদমান ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় জাতীয় হজ ও উমরা নীতি-২০১৯ এর ২৪.২(খ) অনুযায়ী সাদমান ট্রাভেলসের জামানত বাজেয়াপ্তসহ লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
সাদমান ট্রাভেলসের মালিক ড. মো. হাসানুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে শাস্তির বিষয়ে বলেন, ‘তারা মক্কা থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে জানিয়েছি।’ শাস্তি মওকুফের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে রিভিউ আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ নগরীর ২০ নং সাহেব আলী রোড, নতুন বাজারে অবস্থিত সাদমান ট্রাভেলস হজ-উমরার সেবার জন্য বেশ পরিচিত। ড. মো. হাসানুজ্জামান এই বেসরকারি হজ এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মালিক।