মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে জনগণকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফাইজার বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার পর বুধবার ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পায় দেশটি। এর পরের দিন থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে তারা।
সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট জানিয়েছে, সৌদিতে প্রথমে ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের একজন হলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়া। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য জনগণকে আশ্বস্ত ও উৎসাহিত করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনসম্মুখে ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বেনতেনও। জেদ্দায় করোনার টিকা নেওয়ার পর গণমাধ্যমে কথা বলার সময় তিনি জানান, উমরা পালনকালে করোনা সংক্রমণরোধে সতর্কতামূলক সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এবার উমরা পালনকারীদের টিকা গ্রহণ করতে হবে।
হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ বেনতেন আরও বলেন, উমরা পালনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিষয়ক সব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জেদ্দায় করোনা টিকা গ্রহণের পর আল আরাবিয়া টিভিকে বেনতেন বলেন, কেউ উমরা পালন করতে চাইলে তাকে অ্যাপের সাহায্যে নিবন্ধন করে অবশ্যই করোনা টিকা গ্রহণ করতে হবে।
তাছাড়া উমরা পালনে আগের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও বহাল থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া, মাস্ক পরিধান করা এবং নির্দিষ্ট বয়স সীমায় থাকতে হবে।
ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন দেশটির যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ও গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ ড. আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ।
ভ্যাকসিন নিতে জনগণকে প্রথমে নিবন্ধন করতে বলেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৬৩ হাজার ৩৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৬ হাজার ২৭২ জন।
মোট তিন ধাপে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে সৌদি আরব। প্রথম ধাপে ৬৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী নাগরিক, করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা পেশাজীবী, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।