পবিত্র হজপালনের লক্ষে ১৪৪২ হিজরি সালের (২০২১) নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন চায় হাব। অগ্রাধিকারভিত্তিতে হজযাত্রীদের ভ্যাকসিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম শিগগিরই লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবেন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) নয়া পল্টনস্থ একটি হোটেলে হাবের উদ্যোগে করোনাকালে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জামানতের অর্থের ৫০ শতাংশ করজে হাসানা হিসেবে লাভ এবং খসড়া হজ আইন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলতি বছর যদি বিদেশি যাত্রীদের নিয়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে বলেও সভায় জানানো হয়।
হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, হাবের সাবেক সভাপতি ড. ফারুক, হাবের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, সহ-সভাপতি এস এম ইব্রাহিম, সাবেক সহ-সভাপতি ফরিদ আহমদ মজুমদার, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব এম এ রশিদ শাহ সম্রাট ও গোলাম মোস্তফা।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আগে কোনো হজ এজেন্সি অনিয়ম করলে এক থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতো। প্রস্তাবিত খসড়া হজ আইনে অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, হাব পল্লীর নামে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। হাব পল্লীর টাকা ভুক্তভোগীরা আদৌ ফেরত পাবে কিনা এটা নিয়ে সংশয় প্রকাশের পর- হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, যেহেতু হাব পল্লীর জমির ক্রেতা ও বিক্রেতা একজনই। তাই আশা করি সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাছাড়া কিছু দিন আগের এক সভায় হাবের সকল সাবেক সভাপতি ও মহাসচিবদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে; হাব পল্লীর জমি বিক্রেতা ফেরত নিয়ে পুরো টাকা সংশ্লিষ্ট সদস্যদের ফেরত দেবে। সভায় সুশৃঙ্খল ও বিড়ম্বনাহীন হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বর্তমান হাব নেতৃবৃন্দ কাজ করছে উল্লেখ করে সৎ দক্ষ দুর্নীতিমুক্ত হাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ এবং করজে হাসানার অর্থ দ্রুত ফেরত পাওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত খসড়া হজ ও উমরা আইন, হজ ব্যবস্থাপনা ও করোনা মহামারির সময়ে হজ এজেন্সির মালিকদের কল্যাণে সুদবিহীন প্রনোদনা ঋন (জামানতের ৫০ শতাংশ) বিতরণের অগ্রগতি সম্পর্কে হজ এজেন্সির মালিকদের নিয়ে প্রথম পর্যায়ের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হজ লাইসেন্স ০১ থেকে ৬০০ নং পর্যন্ত মালিকরা অংশ নেন। পর্যায়ক্রমে সকল এজেন্সির মালিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।