সৌদি আরবে পবিত্র ওমরা পালনে যাওয়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনার পর নতুনভাবে শুরু হওয়া ওমরা মৌসুমের জন্য নির্দেশনাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সৌদি আরবের হজ ও উমরা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেয়।
একইদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ যেসব এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে ওমরা যাত্রী বহন করে তাদেরও বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়। নতুন এই নির্দেশনা আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ওমরা যাত্রীরা বাস এবং প্রাইভেটকারের সম্পূর্ণ সিট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হোটেলের ক্ষেত্রে প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ২ জনের অবস্থানের নির্দেশ আপাতত বলবৎ থাকবে। আগে যাত্রীরা বাস ও গাড়ির ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রেখে চলাচল করতেন। ফলে ওমরার যাত্রীদের খরচ বেড়ে যাচ্ছিল। এটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও বেরিয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ওমরা করতে যাওয়া যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত (খোলা) স্থানে মাস্ক পড়া আর বাধ্যতামূলক থাকবে না (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)। তবে আবদ্ধ জায়গায় মাস্ক পড়তে হবে।
মক্কার মসজিদে হারাম (কাবা শরিফ এলাকা) এবং মদিনার মসজিদে নববিতে ধারণক্ষমতার সম্পূর্ণ অংশে মুসল্লিরা যেতে পারবেন ও নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখানে কর্মরত কর্মী এবং আগতদের অবশ্যই সার্বক্ষণিক মাস্ক পড়তে হবে।
ওমরা, নামাজ, জিয়ারতের জন্য আগের মতোই ওমরা কোম্পানি থেকে তাসরিয়া গ্রহণ এবং তাওয়াক্কালানা অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। তবে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ নির্দিষ্ট অ্যাপে নিবন্ধন ছাড়া কেউ এসব জায়গায় যেতে পারবেন না।
এর আগে ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর ১০ আগস্ট থেকে বাংলাদেশিদের ওমরা পালনের সুযোগ দেয় সৌদি সরকার। তবে যাত্রীদের জন্য করোনার দুই ডোজ টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়।