পবিত্র ওমরা পালন, নবী করিম (সা.)-এর রওজায় সালাম প্রদান এবং মসজিদে হারাম ও নববিতে নামাজ আদায়ে নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। নতুন নিয়মে ওমরা পালন ও পবিত্র দুই মসজিদে নামাজ আদায় আরও সহজ হলো।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে সৌদি আরবের হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন এক ঘোষণায় জানায়, এখন থেকে ওমরার অনুমোদনের জন্য আর ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে না। চাইলে এক ওমরার পর পুনরায় ওমরার অনুমতির জন্য আবেদন করা যাবে। তদ্রুপ রিয়াজুল জান্নাতেও বারবার নামাজ আদায়ের জন্য পারমিট নিতে পারবেন।
আগের নিয়মে একবার ওমরা আদায়ের পর ১৫ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ওমরা এবং রিয়াজুল জান্নাতে একবার নামাজ আদায়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার নামাজ আদায়ের অনুমতি পাওয়া যেতো না।
১৫ অক্টোবর সৌদি বাদশাহ সালমান হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে তাওফিক আল রাবিয়াকে নিয়োগ দেন। এর আগে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তাওফিক আল রাবিয়া বলেন, ‘হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের প্রধান লক্ষ্য কোভিডপূর্ব সময়ে যেভাবে মানুষ হজ-ওমরা পালন করেছেন, তার পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য আমাদের কর্মীরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন এবং বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।’
এদিকে ১৭ অক্টোবর ফজরের নামাজের সময় থেকে পবিত্র দুই মসজিদে পূর্ণ ধারণক্ষমতায় মুসল্লিরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করছেন। প্রতিদিন ১ লাখ মুসল্লি ওমরা পালনের অনুমতি পাচ্ছেন।
গত বছরের মার্চে সৌদি আরবে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের শনাক্তের পর দেশটিতে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের অংশ হিসেবে তখন মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাত মাস পর অক্টোবরে মসজিদ চালু করা হলেও মোট ধারণক্ষমতার চেয়ে কম মুসল্লি নিয়ে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা হতো।
রোববার (১৭ অক্টোবর) ফজরের নামাজের সময় থেকে সেই বিধি-নিষেধও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়াই নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। তবে মসজিদে প্রবেশের জন্য সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পড়তে হচ্ছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, মসজিদ পূর্ণ ধারণক্ষমতায় চালু হলেও আগের মতোই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ইতামারনা ও তাওয়াক্কালনা অ্যাপের মাধ্যমে পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশের অনুমতি নিতে হবে।
বর্তমানে যারা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, তাদেরকেই কেবল মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।