নবী করিম সা.-এর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

বিশেষ নিবন্ধ, ইসলাম

কে এম ছালেহ আহমদ বিন জাহেরী, অতিথি লেখক, ইসলাম | 2023-09-01 16:59:45

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। উম্মতের হেদায়েতের জন্য আল্লাহতায়ালা তাকে রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন, তিনি বিশ্ববাসীর জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহতায়ালা নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি দান করছেন। যা পূর্বের কোনো নবী-রাসুলকে দান করা হয়নি। এখানে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি উল্লেখ করা হলো।

বৈশিষ্ট্য

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম আরশে লিপিবদ্ধ।

মিরাজ গমন, ফেরেশতাদের সঙ্গে সাক্ষাত এবং বেহেশত ও দোজখের আশ্চর্যজনক ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর দিদার লাভ।

নামাজের আজান ও ইকামতে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম উল্লেখ।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মালের জাকাত গ্রহণ করা হারাম।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসারীদের সংখ্যা সকল নবীর অনুসারীদের চেয়ে বেশি।

তিনি সৃষ্টিজগতের সর্বোত্তম ব্যক্তি।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর উম্মতের জন্য তার স্ত্রীদের বিয়ে করা হারাম। কারণ তাদের উম্মাহাতুল মুমিনিন অর্থাৎ উম্মত জননী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

তার মাধ্যমেই নবুওয়তের পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

গুণাবলি

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চেহারা মোবারক এমন আকর্ষণীয় ছিলো, যা দেখে শত্রুরা ভীত-শঙ্কিত হয়ে পড়ত। আর অন্যরা দেখে মুগ্ধ হতো।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম রাখা হয়েছে আহমদ তথা অতি প্রশংসাকারী। এমন নাম কোনো নবী-রাসুলের রাখা হয়নি।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সংক্ষেপে বেশি অর্থবহ কথা বলার যোগ্যতা দান করা হয়েছে।

সমস্ত জমিনকে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মসজিদ ও পবিত্র স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অন্য নবীদের দেওয়া হয়নি।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মাটিকে পবিত্র বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে পানির বিকল্প (প্রয়োজনে) হিসেবে তিনি ও তার উম্মতের জন্য মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা বৈধ।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য গণিমত তথা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে। যা অন্য নবী-রাসুলদের সময় হালাল ছিলো না।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সমগ্র সৃষ্টির প্রতি রহমত হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি হলেন- বিশ্বনবী। এ ছাড়া সব নবী-রাসুল ছিলেন আঞ্চলিক এবং নির্দিষ্ট এলাকার।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমে নবুওয়তের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী-রাসুল আসবে না।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর