বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক প্রায় ৩ বছর যাবত কারাগারে বন্দি। আদালতের মাধ্যমে তার জামিন চেয়েও জামিন পাওয়া যাচ্ছে না, এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারেন না। এভাবে মাওলানা মামুনুল হককে বেশিদিন কারাগারে বন্দি রাখা যাবে না। ২৯ ডিসেম্বরে আগে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে দেশের মানুষ তার মুক্তির জন্য যা করা দরকার তাই করবে। সুতরাং মাওলানা মামুনুল হককে দ্রুত মুক্তি দিন।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ঘোষিত তফসিল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দ্রুত মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জিনিসপত্রের যেভাবে দাম বেড়ে চলছে; তাতে মনে হয় দেশে কোনো সরকার নেই। সরকার দলীয় লোকদের চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজীর কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলছে। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি বন্ধ হলেই জিনিসপত্র মূল্য কমে যাবে।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি নুর মোহাম্মদ আজিজীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফের পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামালুদ্দীন ফরুকী, সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি নুরুল আলম কাসেমী, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আশিকুর রহমান জাকারিয়া, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলনা রাকিবুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ আশিকুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ মাহদী হাসান প্রমুখ।