দয়া করে কেউ শিশু-কিশোরদের হাতে মোবাইল দেবেন না। তাদের হৃদয় নরম। মোবাইল আসক্তির ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়, শিশু-কিশোরদের দৃষ্টি ও চিন্তা-ভাবনা ভিন্ন দিকে চলে যায়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে হবিগঞ্জ ইকরা বাংলাদেশ স্কুল ও ইকরা তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার নতুন হেফজ শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশ্বজয়ী হাফেজ তরীকুল ইসলাম উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
হিফজ শিক্ষার্থীদের সবক প্রদানের আগে উপস্থিত সবাইকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেও শোনান তিনি।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে ইকরা বাংলাদেশ স্কুল হবিগঞ্জের প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মাসউদুল কাদির বলেন, আমরা শিশুদের মননের বিকাশ ঘটাতে চাই। আকাবিরের পথ অনুসরণ করতে চাই। শিশুর মননে আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই, তাকে কীভাবে বেড়ে উঠতে হবে এবং কার মতো করে বেড়ে উঠতে হবে- সেটা স্পষ্ট করে দিতে চাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ও ইসলাম শিক্ষা সমন্বয়ের প্রশংসা করে জামিয়া আরাবিয়া উমেদনগরের প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মাসরুরুল হক বলেন, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের খুবই প্রয়োজন ছিল, হবিগঞ্জের মানুষদের জন্য ইকরা রহমতস্বরূপ। আজকে শিশুদের মনন নিয়ে খেলা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে কার্টূন তৈরি করে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে কোরআনিক স্কুল, ইকরার মতো স্কুলের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা ইকরার সাফল্যের অংশীদার হতে চাই।
হবিগঞ্জ মারকাজ মসজিদের খতিব মাওলানা মাসউদুর রহমান বেলাল বলেন, জেনারেল ও ইসলাম শিক্ষা সমন্বয়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ইকরা। এ শহরে এমন প্রতিষ্ঠান আর নেই। ইকরা নিজস্ব জায়গায়, নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করুক। আমরা পাশে থাকবো- ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে ইকরার উপদেষ্টা মশিউর রহমান শামীম বলেন, এ শহরে ইকরার শাখা খোলার জন্য আমিই প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপালকে অনুরোধ করেছিলাম। আল্লাহর মেহেরবানীতে ইকরা ভালো করছে। আরো ভালো করবে- ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা হুমায়ুন আশরাফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, মুফতি সাইদুজ্জামান নূর, মাওলানা মোজাহিদ আলী, অ্যাডভোকেট এ এফ এম খায়রুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, ফারুক আহমেদ ও আবদুল গফুর তালুকদার প্রমুখ।
বর্ষসেরা শিক্ষক সম্মাননা ২০২৩ লাভ করেন ইকরা বাংলাদেশ স্কুল হবিগঞ্জের শিক্ষক শরিফ আহমদ ও ইকরা তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ বদরুল আলম কাসেম। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও হেফজ সমাপনকারী শিক্ষার্থীদের মাথায় সম্মাননা পাগড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়।