ছারছীনা দরবার শরীফের ১৩৪ তম মাহফিল শেষ হতে চলছে। এ দরবারের একমাত্র কাজ হচ্ছে মানুষকে তালিম, তালকিন ও ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে আমলের দিকে ধাবিত করা। সর্বদা নেক আমলের দিকে মানুষকে উৎসাহিত করা। শতাব্দীর সেরা এই দরবার থেকে ইসলামের পক্ষে অবস্থান ছিল সর্বোচ্চ স্থানে। যেহেতু আমরা কোনো দলীয় রাজনীতি করি না, তাই কারও সঙ্গে আমাদের কোনো দলীয় সংঘাত নেই। আপনারা দরবারে আসবেন একটি উদ্দেশ্য নিয়ে, যেন নেক আমল করে আল্লাহওয়ালা হতে পারেন। বদ আকিদা থেকে দূরে থাকবেন। কেননা মন্দ আকিদা মানুষের ঈমানকে চিরতরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
বুধবার (১৩ মার্চ) বাদ জোহর ছারছীনা দরবার শরিফের তিন দিনব্যাপী ১৩৪তম বার্ষিক ঈসালে সওয়াব মাহফিলের আখেরি মোনাজাতের আগে সংক্ষিপ্ত নসিহতের সময় আমিরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ এসব কথা বলেন।
পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন, আপনাদের সন্তানরা আপনাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। তাদের আমল-আখলাক, লেবাস-আদব ইত্যাদি ঠিক রাখতে সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দ্বীনিয়া মাদ্রাসা। আপনাদের সন্তানদের এসব মাদ্রাসায় ভর্তি করে দ্বীন শেখানোর উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদীর তীরে অবস্থিত দরবার শরিফে মাহফিলের বিশাল ময়দান আখেরি মোনাজাতের পূর্বে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
মাহফিলে ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলীর ওপর আলোচনা করেন যথাক্রমে- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমির ও হজরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা হজরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার মুফতি ওসমান গণি ছালেহী, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা রূহুল আমিন ছালেহী, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি মাহমুদুম মুনীর হামীম ও হাফেজ মাওলানা মো. বোরহান উদ্দিন ছালেহী।
বাদ জোহর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন পীর ছাহেব কেবলা মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ। এ সময় উপস্থিত মুসল্লিদের আমিন আমিন ধ্বনি আর কান্নার আওয়াজে আকাশ-বাতাস ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে।