দখলদার ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর বিধি-নিষেধ, যুদ্ধাবস্থা ও নানাবিধ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে ফিলিস্তিনের পবিত্র মসজিদে আকসায় চলতি রমজান মাসের প্রথম জুমা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে ৮০ হাজারের বেশি মুসল্লি অংশ নেন। অবশ্য নামাজ পড়তে অধিকৃত জেরুজালেমের এলাকার বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুদের কেবল প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক মুসলমান নামাজ পড়ে যেতে পারেননি।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে ৮০ হাজারের বেশি মুসল্লি অংশ নেন। অবশ্য নামাজ পড়তে অধিকৃত জেরুজালেমের এলাকার বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুদের কেবল প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে আল-আকসা মসজিদে তারাবি নামাজ পড়েন ৭০ হাজারের বেশি মুসল্লি। মসজিদের প্রবেশপথে ইসরায়েলি বাহিনীর বাধা উপেক্ষায় করে তারা নামাজ পড়তে যান। জর্দান সরকার নিয়ন্ত্রিত আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এশা ও তারাবি নামাজে ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি অংশ নিয়েছেন। তারা পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও সামনের প্রাঙ্গণে নামাজ পড়েন। অবশ্য ইসরায়েলি বাহিনী অসংখ্য তরুণদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়।
এর আগে গত সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, রমজান মাসজুড়ে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের অধিবাসীরা পূর্বঅনুমতি ছাড়া জেরুজালেমে প্রবেশ করতে পারবে না। তা ছাড়া শুধুমাত্র অনূর্ধ্ব ৫৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ৫০ বছর বয়সী নারীদের মসজিদে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হবে।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েল হামলা শুরুর পর পশ্চিম জেরুজালেমে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর বিধি-নিষেধ বাড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরের ৪৩৩ জন নিহত হনে এবং সাড়ে চার হাজারের বেশি লোক আহত হন। এদিকে গাজায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৭২ হাজার ৫২৪ জন আহত হয়েছে।