একদিকে দুপুর অন্যদিকে ইহরাম পরিধান ছাড়া পবিত্র কাবা চত্বরে যাওয়া নিষেধ, এ কারণে মাতাফে কিছুটা ভিড় কম। এ সময় কাবা শরিফ তাওয়াফরত মুসল্লিরা স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটের দিকে দেখতে পান, পবিত্র কাবার কোনো ছায়া নেই!
কোনো দিকেই পবিত্র কাবার কোনো ছায়া পড়ছে না। বিষয়টি অনেককে হতবাক করে দেয়। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রকৃতিগত কারণেই এমনটা হয়েছে।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো সোমবার দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে সূর্য কাবা শরিফের সোজা ওপরে লম্ব ছিল। ফলে পবিত্র কাবার ছায়া চারদিক থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এর আগে চলতি বছরের ২৭ মে দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
জেদ্দার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মজিদ আবু জাহরা বলেন, লম্বের ওই মুহূর্তে এবং যখন সূর্য তার সর্বোচ্চ উচ্চতায় প্রায় ৯০ ডিগ্রি অর্থাৎ পবিত্র কাবার ওপরে সম্পূর্ণ খাড়াখাড়িভাবে অবস্থান করছিল, তখন এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
কাবার ওপর সূর্যের ওই অবস্থানের কারণে কাবার ছায়া তার চারদিক থেকে সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। মজিদ আবু জাহরা আরও বলেন, এই ঘটনাটি ঘটে যখন কাবার অবস্থান বিষুব রেখা এবং কর্কটক্রান্তির মধ্যে থাকে।
প্রতি বছর সাধারণত দুবার এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রথম যখন এটি মে মাসে নিরক্ষরেখা থেকে কর্কটক্রান্তি অঞ্চলে চলে যায় এবং দ্বিতীয়বার যখন সূর্য জুলাই মাসে কর্কটক্রান্তি থেকে আগত বিষুব রেখায় দক্ষিণে ফিরে আসে।
জ্যোতির্বিদ আবু জাহরা আরও জানান, কাঠের কোনো কাঠি মাটিতে লম্বালম্বী করে মানুষ কাবার সঠিক দিক নির্ধারণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে কেবলার দিকটি কাঠির ছায়ার ঠিক বিপরীতে দেখতে পাবে।