পবিত্র হজের পর মহররম মাসের এক তারিখ থেকে শুরু হয়েছে চলতি বছরের (১৪৪১ হিজরি সন) উমরা মৌসুম। উমরা চালুর শুরু থেকেই বিশ্বের নানাপ্রান্ত থেকে উমরা পালনকারীরা আসছেন সৌদি আরবে।
মহররম মাসের শুরু থেকে ২৭ রবিউল আওয়াল পর্যন্ত বিগত তিন মাসে উমরা পালনকারীদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আরবি গণমাধ্যম আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, তিন মাসে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ উমরার জন্য ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৬টি ভিসা প্রদান করেছে। তন্মধ্যে ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৫ জন পবিত্র উমরা পালনের জন্য সৌদি আরব এসেছেন।
তালিকায় সংখ্যা বিবেচনায় উমরা পালনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। বিগত তিন মাসে পাকিস্তান থেকে উমরা আদায়কারীর সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৯৪ জন।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৬১ জন উমরা পালন করেছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের নাম। ভারত থেকে তিন মাসে উমরা আদায় করেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৫ জন।
তালিকার চতুর্থ থেকে দশম পর্যন্ত যথাক্রমে- মালয়েশিয়ার ৫০ হাজার ৮৪১ জন, তুরস্কের ৫০ হাজার ৭৭৫ জন, বাংলাদেশের ৩৬ হাজার ২১ জন, আলজেরিয়ার ২৮ হাজার ৭৮৫ জন, মরোক্কোর ১৮ হাজার ১৪৬ জন, ইরাকের ১৬ হাজার ৮৫১ জন ও জর্ডানের ১৬ হাজার ২২৩ জন।
ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, সৌদি আরবে বসবাসকারী কমপক্ষে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯১ জন উমরা পালন করেছেন।
এদিকে সৌদি আরবের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, বহিরাগত ১১ লাখের বেশি মুসল্লি উমরা পালনের উদ্দেশ্যে দেশটিতে আসলেও উমরা সম্পন্ন করে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন মাত্র ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৪ জন।
হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, উমরা পালনের জন্য আকাশপথে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৮ জন, স্থলপথে ৪৪ হাজার ৭৫০ জন এবং নৌপথে ৭ জন মুসল্লি সৌদিতে পৌঁছেছেন।
সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, উমরা পালনকারীদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার জন্য বিশেষ সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হোটেল বুকিং, পরিবহন সংস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা যাবে সহজে। এই সেবাকেন্দ্র উমরাযাত্রীদের পরস্পরে যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, সব কাগজপত্রসহ ভিসার আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে উমরার যাত্রীরা ই-ভিসা পাচ্ছেন খুব দ্রুত।