সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের হজ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। নতুন চুক্তিতে ভারতের অনুকূলে হজ কোটা বেড়েছে ৩০ হাজার। সে হিসেবে ২০২০ সালে ভারত থেকে ২ লাখ মুসলমান কোনো ধরনের সরকারি ভর্তুকি ছাড়া পবিত্র হজপালনের সুযোগ পাবেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) জেদ্দায় হজ চুক্তিতে সই করেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি ও সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন। এ সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত আউসাফ সাঈদ ও কনসাল জেনারেল নূর রহমান শেখ উপস্থিত ছিলেন।
হজ চুক্তি শেষে মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, জেদ্দায় ভারতীয় কনস্যুলেট, সৌদি আরব সরকার এবং হজ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ২০২০ সালের হজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
নাকভি বলেন, ‘হজের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ, ই-ভিসা, হজপোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ, ই-মসিহা স্বাস্থ্য সুবিধা, মক্কা-মদিনায় অবস্থানের ভবন এবং যাতায়াত সম্পর্কিত তথ্য, ই-লাগেজ ট্যাগিং ব্যবস্থার সঙ্গে ভারত থেকে মক্কা ও মদিনায় যাওয়া হজযাত্রীদের যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে ভারতের সব হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য কার্ড সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে, অন্যদিকে সৌদি আরবে তাদের ‘ই-মসিহা স্বাস্থ্য সুবিধা’ দেওয়া হবে। এতে প্রত্যেক হজযাত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া সহজ হবে।’
মন্ত্রী আরও জানান, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় হজ কমিটি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৪টি আবেদন পেয়েছে। এ বছর হজের আবেদনের শেষ তারিখ ৫ ডিসেম্বর। আশা করছি এর মধ্যে নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়ে যাবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের অনুকূলে হজ কোটা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। পরে জুন মাসে জাপানের ওসাকায় জি২০ সম্মেলন চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুবরাজ সালমানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে জানানো হয় হজ কোটা বাড়ানো হবে। হজ চুক্তিতে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলো।
২০১০ সাল ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১ লাখ ৩৬ হাজার ২০ জন ভারতীয় হজপালন করেছেন। ২০১২ সাল থেকে হজে ভারতীয়দের কোটা বৃদ্ধির দাবি করছিল দিল্লি। প্রায় পাঁচ বছর পর হজে জন্য ভারতীয়দের কোটা বাড়ে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের। ২০১৭ সালে ভারত থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার ৫২০ জন হজপালন করে আসছিলেন। ২০২০ সাল থেকে ২ লাখ মুসলমান হজপালনের সুযোগ পাবেন।