সৌদি সরকারের ভিশন-২০৩০ এর অন্যতম লক্ষ্য হলো- বছরের ১ কোটি উমরা ভিসা ও হজযাত্রীর সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করা। এ পথেই হাঁটছে দেশটি। তাইতো দেখা যাচ্ছে, উমরা ভিসা চালুর প্রথম চার মাসে দেশটি ২২ লাখ উমরা ভিসা ইস্যু করেছে।
মহররম মাসের এক তারিখ থেকে শুরু হয়েছে চলতি বছরের (১৪৪১ হিজরি সন) উমরা মৌসুম। উমরা ভিসা চালুর শুরু থেকেই বিশ্বের নানাপ্রান্ত থেকে উমরাপালনকারীরা আসছেন সৌদি আরব।
মহররম মাসের শুরু থেকে ২৫ রবিউস সানি পর্যন্ত চার মাসে উমরা পালনকারীদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আরবি গণমাধ্যম আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, চার মাসে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ উমরার জন্য ২২ লাখ ভিসা প্রদান করেছে। তন্মধ্যে ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৪ জন পবিত্র উমরা পালনের জন্য সৌদি আরব এসেছেন। তন্মধ্যে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬৩ জন উমরাপালন শেষে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
উমরাপালনকারী দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। চার মাসে পাকিস্তানের উমরা আদায়কারীর সংখ্যা ৪ লাখ ৫০ হাজার ১১ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির ৩ লাখ ৯৯ হাজার ১০৩ জন উমরাপালন করেছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের নাম। ভারত থেকে চার মাসে উমরা আদায় করেছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮১ জন।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ার ১ লাখ ১০ হাজার ৭৩৯ জন, মিসরের ৮৫ হাজার ৮০৮ জন, তুরস্কের ৭০ হাজার ৬২৬ জন, আলজেরিয়ার ৬৪ হাজার ২৩৮ জন, বাংলাদেশের ৬১ হাজার ১১১ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩৭ হাজার ১৯১ জন এবং জর্ডানের ২৭ হাজার ৫৪০ জন উমরা পালন করেছেন।
সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, উমরা পালনকারীদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার জন্য বিশেষ সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হোটেল বুকিং, পরিবহন সংস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা যাবে সহজে। এই সেবাকেন্দ্র উমরাযাত্রীদের পরস্পরে যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, সব কাগজপত্রসহ ভিসার আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে উমরার যাত্রীরা ই-ভিসা পাচ্ছেন খুব দ্রুত।
এদিকে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকে উমরাপালনে যাওয়া যাত্রীদের অসুস্থতা, ফ্লাইট বাতিল কিংবা বিলম্ব, দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্তদের বিমার আওতায় আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। যেন উমরাযাত্রীরা আরও স্বচ্ছন্দে উমরা সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন।