২০২০ সালের সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা এখনও খালি। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন ব্যক্তি হজপালন করতে পারবেন। সর্বশেষ তথ্যমতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছেন ৫ হাজার ৯২৭ জন। আর সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছেন ২ লাখ ৯ হাজার ৫৯৭ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালন করতে পারবেন ১ লাখ ২০ হাজার জন।
এমতাবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনার যেসব হজযাত্রী ২০২০ সালের কোটা পূর্ণ হওয়ায় ২০২১ সালের জন্য প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন, তাদের মধ্যে কেউ আগ্রহী হলে ২০২০ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এস. এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী হজযাত্রীদের পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা বরাবর আবেদন করার অনুরোধ করা হয়েছে। আবেদেন এই মেইলেও পাঠানো যাবে- transfer@hajj.gov.bd. প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করারও অনুরোধ করা হয়েছে।
যারা শেষ মুহূর্তে এসে হজপালনের চিন্তা করছেন তারা সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন কিংবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করে থাকলে ট্রান্সফার হয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালন করতে পারেন।
অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর থেকে সৌদি সরকারের দেওয়া কোটার অতিরিক্ত হজযাত্রী নিবন্ধিত হওয়ার প্রবণতার কারণে সরকার প্রাক-নিবন্ধন সারাবছরের জন্য চালু রেখেছে।
ফলে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী কোটার অতিরিক্ত প্রাক-নিবন্ধিতরা পরবর্তী বছরের কোটার মধ্যে পড়লেই কেবল পরবর্তী বছর যেতে পারছেন। যদি তারও পরে সিরিয়াল হয় তাহলে তাকে পরের বছর যেতে হচ্ছে।
যেমন চলতি বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারের কোটা পূরণ হওয়ার পর আরও ৮৯ হাজার ৫৯৭ জন প্রাক নিবন্ধিত হয়ে আছেন। এ ছাড়া প্রতিদিনই আগ্রহীরা নিবন্ধন করছেন। এখন নিবন্ধনকারীদের ২০২১ সালের জন্য অপেক্ষা করেতে হবে।
সরকারি কোটা এখনও প্রায় ১১ হাজার খালি রয়েছে, সুতরাং চলতি বছর কেউ হজ করতে চাইলে সরকারি ব্যবস্থাপনা বেছে নিতে পারেন।
হজের মতো একটি ফরজ ইবাদতের বিষয়টি গুটিকয়েক অসাধু গ্রুপ লিডার, মধ্যস্বত্বভোগীর কারণে অতি ব্যবসায়িক পণ্যের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কারণে হজযাত্রীরা অনেক সময় নানা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে সেই তুলনায় সেবা না দেওয়ার অভিযোগ বেশ পুরোনো।
অনেক সময় টাকা মূল এজেন্সির কাছে জমা না দিয়ে মধ্যস্বত্বভোগী সটকে পড়েন। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় হজযাত্রীকে। এমতাবস্থায় হজ করতে সরকারি ব্যবস্থাপনা কিংবা বেসরকারি বৈধ এজেন্সি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার তাগাদা দিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্টরা।