করোনাভাইরাসের কারণে আরব বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মসজিদে জুমা ও জামাত সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। উপমহাদেশেও করোনা পরিস্থিতির কারণে জুমা-জামাত প্রসঙ্গে নানামুখী প্রশ্ন উঠেছে। এমতাবস্থায় উপমহাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে জুমা এবং জামাত বিষয়ক বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
সোমবার (২৩ মার্চ) এ নির্দেশনা প্রদান করে দারুল উলুম দেওবন্দ। ওই নির্দেশনায় দেশে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার যেসব দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে, সেগুলো মেনে চলার জন্য মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
দেওবন্দের ওই আহ্বানে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে সরকার যে কারফিউ বা লকডাউন জারি করেছে, সেগুলো মেনে চলা আমাদের কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে নিজেরাও সতর্ক থাকবেন ও অন্যদেরকেও সতর্ক থাকতে বলবেন।
‘এ পরিস্থিতিতে মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে আমরা বলবো, যেসব এলাকায় লোকসমাগম বেশি, করোনাভাইরাসের ভয় বেশি, সেখানে সরকারের নির্দেশনা মানার পাশাপাশি আমাদেরকে মসজিদও চালু রাখতে হবে। যেসব এলাকায় লকডাউন জারি করা হয়েছে, সেসব এলাকার ইমাম ও মুয়াজ্জিন কয়েকজন মুসল্লিকে সঙ্গে নিয়ে জামাত চালু রাখবেন। যেসব এলাকায় লকডাউন জারি করা হয়নি, সেসব এলাকার মসজিদে মুসল্লিরা দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করবেন, তবে ঘরে সুন্নত আদায় করবেন। সতর্কতা বজায় রাখবেন, অজু ও হাত ধোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেবেন।’
করোনা মহামারি বিষয়ে প্রত্যেক মুসলিমের এ বিশ্বাস থাকতে হবে, আল্লাহতায়ালার হুকুম ছাড়া কোনো রোগ বা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয় না। মৃত্যু হয় একমাত্র আল্লাহর নির্দেশে। এসব রোগ ও মহামারি মানুষের গোনাহের কারণে এসে থাকে। এগুলো থেকে আল্লাহতায়ালাই মুক্তি দিতে পারেন।
এজন্য প্রত্যেক মুসলিমের উচিত যথাসম্ভব জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় না ছাড়া। বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করা। আল্লাহর কাছে গোনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া। সব ধরণের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা।