বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের হজযাত্রা বাতিল করেছে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়া ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে হজ বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনও আর কোনো দেশ নেয়নি।
মঙ্গলবার (২ জুন) করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ধর্মমন্ত্রী ফখরুল রাজি।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, এটি আমাদের জন্য নেওয়া একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তে অনেক মানুষ মর্মাহত হবেন। কিন্তু এর বাইরে আমাদের করার কিছুই নেই।’
জাকার্তা পোস্ট জানিয়েছে, প্রতি বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে ২ লাখের বেশি মুসলিম সৌদি আরবে হজ করতে যায়। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্দোনেশিয়া থেকে সর্বাধিক হজযাত্রী সৌদি আরব গমন করেন। তবে কোটা পদ্ধতির কারণে গড়ে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হওয়ায় অনেক ইন্দোনেশীয়ই জীবনে মাত্র একবার হজ করার সুযোগ পান।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই অর্থাৎ ৯ জিলহজ হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কড়াকড়ি আরোপ করা সৌদি আরব সরকার হজের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে উমরা বন্ধ রয়েছে।
চলতি বছর হজ কোটায় ইন্দোনেশিয়া থেকে দুই লাখ ২১ হাজার মানুষের সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ ছিলো। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি লোক হজে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনও সম্পন্ন করেছিলেন বলে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে।
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবারের হজ হবে কি-না এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
অবশ্য এপ্রিলের শেষ দিকে সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী, এখনই হজের পরিকল্পনা না নিয়ে ধৈর্য ধরতে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানান।
হজ ও উমরা সৌদি আরবের আয়ের অন্যতম উৎস। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে উমরা বন্ধ রয়েছে। আর হজের বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা দেয়নি দেশটি।