কওমি সনদের স্বীকৃতিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তিনি আলেমদের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ রেখে চলতেন। আলেমরাও তাকে শ্রদ্ধা করতেন বলে মন্তব্য করেছেন আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর মৃত্যুতে গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় এভাবেই স্মৃতিচারণ করেছেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির পীরে কামেল আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে পাঠানো শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
শোকবার্তায় মুফতি রুহুল আমীন বলেন, শেখ মো. আবদুল্লাহ ছিলেন একজন ধর্মভীরু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তিনি অত্যন্ত সৎ, পরোপকারী ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের আলেম-উলামাদের সঙ্গে নিয়ে ইসলাম এবং দেশের জন্য কাজ করেছেন। আমরা একসঙ্গে কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি, দাওয়াত ও তাবলিগের উদ্ভুব সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছি। কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতির ব্যাপারে তার প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল। দাওয়াত ও তাবলিগের সঙ্কটকালে তিনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করেছেন। তার এসব কাজের কারণে তিনি আজীবন স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন।
মুফতি রুহুল আমীন আরও বলেন, তিনি ছিলেন আমার বাবা মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী সদর সাহেব রহ. এর বিশেষ শিষ্য এবং গওহরডাঙ্গা মাদরাসার ছাত্র। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর গওহরডাঙ্গা মাদরাসা এসে সবার দোয়া নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু করেন। তিনি সকল কাজ আমি এবং আলেম-উলামাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সম্পন্ন করতেন। আমাদের মাঝে গভীর সম্পর্ক ছিল। আমরা দু’জন ভাইয়ের মতো চলাফেরা করতাম। তার ইন্তেকালে আমি এবং দেশের আলেম-উলামারা একজন অভিভাবক হারালাম, কল্যাণকামী বন্ধু হারালাম। তার এ শূন্যতা পূরণ হবার নয়। দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের উচুঁ মাকাম নসিব করেন।