ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ ছিলেন একজন বিশাল ব্যক্তিত্ব ও বিশাল পরিমাপের মানুষ। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ছিলেন অত্যন্ত অনঢ়। তার কর্মপ্রেরণা ছিল অনুকরণীয়। তিনি ২০১৯ সালে অত্যন্ত উন্নতমানের হজ ব্যবস্থাপনা জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন। তার এ অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শনিবার (২০ জুন) ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর স্মরণে অনুষ্ঠিত শোকসভায় সভাপতির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ মো. আবদুল্লাহ ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মপ্রাণ ও অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি। তার অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান ধর্ম সচিব।
শোকসভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়সহ জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়, হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও হজ অফিসের কর্মকর্তাসহ দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বিশিষ্ট আলেম ও ব্যক্তিবর্গ জুম এ্যাপের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।
শোকসভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও এ বি এম আমিন উল্লাহ্ নুরী, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি রুহুল আমিন, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, জেদ্দাস্থ হজ কাউন্সিলর মাকসুদূর রহমান, হিন্দু-ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব বিষ্নু কুমার সরকার, হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতি, মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোজাম্মেল হক, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমীন, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, বেফাকের সহকারী মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক ও তেজগাঁও আলীয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভা সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।
সভাশেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন শোলাকিয়াহ ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।