করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণরোধে বন্ধ থাকা মসজিদগুলো ১ জুলাই থেকে আবার খুলে দিচ্ছে আরব আমিরাত। মসজিদের সঙ্গে সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়গুলোও খুলে দেওয়া হবে। তবে মেনে চলতে হবে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি। আর উপস্থিত হতে পারবে ৩০ শতাংশ প্রার্থনাকারী।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, আপাতত মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হলেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জুমার নামাজ স্থগিত থাকবে। এখন শুধু ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা।
এ ছাড়া মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন- জামাতের সময় প্রতি ২ কাতারের মধ্যে এক কাতার ফাঁকা রাখতে হবে, প্রতি ২ ব্যক্তির মধ্যে ১.৫ মিটার ফাঁক রাখতে হবে, মসজিদের প্রবেশের সময় সবাইকে গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, মুসল্লিরা নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে আসবেন, কোনো হ্যান্ডশেক করতে পারবে না, তবে দূর থেকে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবেন, নামাজের আগে বা পরে মুসল্লিরা একত্রিত হতে পারবেন না, দ্বিতীয় জামাত করা যাবে না, জামাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ ত্যাগ করতে হবে, যারা কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আছেন তারা অন্য মুসল্লিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মসজিদে আসবেন না এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন তাদেরও অন্যদের সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ৬০ বছরের বেশি বয়সী বয়স্ক এবং ১২ বছরের নিচে বাচ্চাদের তাদের নিজের সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজের জন্য আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
মসজিদগুলো আজানের সময় থেকে জামাতে ফরজ নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ২০ মিনিটের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, ফরজ নামাজ আজানের পরপরই আদায় করা হবে।
মসজিদের কোনো ধরনের খাবার, পানীয় কিংবা প্রচারপত্র বিতরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারীরা মসজিদে আসবেন না। মসজিদের বাথরুম এবং অজুখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাস সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১৭ মার্চ থেকে আরব আমিরাতের মসজিদগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে মসজিদগুলোতে শুধুমাত্র আজান দেওয়া হতো।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়েক হাজার মসজিদ, ৪০টিরও বেশি খ্রিস্টান গির্জা ও হিন্দু মন্দির রয়েছে।
আরব আমিরাতে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩১৪ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৬ জন।