জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি মহামারির আকার ধারণ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হলেও বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাত চরম অবহেলার শিকার ও দুর্নীতিতে জর্জরিত। আসলে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে সত্যিকারার্থে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি সম্ভব নয়।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাতে ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাত চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। স্বাস্থ্যখাতে ক্ষমতাসীনদের উদাসীনতার কারণে মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, এমনকি মৃত্যুবরণ করছে। স্বাস্থ্যখাতে চলমান এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর দায়ভার সরকার কিছুতেই এড়াতে পারেন না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে সরকারকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। সাহেদ, ডা. সাবরিনারা এই দুর্নীতির ফসল।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত শুস্ক মওসুমে পানি বন্ধ করে দিয়ে দেশকে মরুভূমি বানায় এবং বর্ষা মওসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে দেশকে বন্যায় নিপতিত করে। অপরদিকে বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে সরকার দাঁড়াতে পারেনি। বানভাসী মানুষ বন্যায় অসহায় জীবনযাপন করছে। এ সময় পীর সাহেব বলেন, প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা যুবসমাজকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতাকেন্দ্রিক দলগুলো যুব সমাজকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুবসমাজকে আদর্শিকভাবে গড়ে তুলে একটি আদর্শিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আদর্শবান করে তৈরি করছে। ইসলামী যুব আন্দোলন অবহেলিত যুবকদের ইসলামের আলোয় আলোকিত করে আদর্শবান ও সৎচরিত্রবান করে গড়ে তুলছে। ফলে করোনা মহামারিতে সারাদেশে কর্মহীন মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত নিয়ে দাঁড়িয়েছে। এসময় তিনি যুবসমাজকে বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষায় ব্যাপক কর্মস্ংস্থান সৃষ্টি এবং বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করে যুবসমাজকে কাজে লাগানোর দাবি জানান।
ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী আলোচনা সভার শেষ দিনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কেএম আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন। ভার্চুয়াল আলোচনা সভার ২য় দিনে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সহকারি মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, আতিকুর রহমান মুজাহিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক ক্বারী সাঈদুল ইসলাম আসাদ।