সৌদি আরবের বাদশাহ ও খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন সালমান বিন আবদুল আজিজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি গলব্লাডারের প্রদাহে ভুগছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ।
সোমবার (২০ জুলাই) সৌদির রয়্যাল কোর্টের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৮৪ বছর বয়সী বাদশাহ সালমানকে সোমবার রিয়াদের বাদশাহ ফয়সাল বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
বাদশাহ সালমান ২০১৫ সাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব শাসন করছেন। এর আগে ২০১২ সাল থেকে আড়াই বছরেরও বেশি তিনি দেশটির যুবরাজ ও উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রিয়াদের গভর্নর ছিলেন।
বাদশা সালমানের আগে তার সৎভাই ২০০৫ সালে বাদশাহ হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তিনি তার ভাই বাদশাহ ফাহাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।
বাদশা সালমানের পর সিংহাসনে বসবেন তার পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমান। ৩৪ বছর বয়সী যুবরাজই মূলত সৌদি আরবের শাসক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। তিনি দেশটির অর্থনীতিতে তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি এমবিবিএস হিসেবে অধিক পরিচিত।
সৌদি আরবে কয়েক দশক ধরে চলে আসা বিভিন্ন রীতি-নীতি সাহসিকতার সঙ্গে বদলে দেওয়ায় বাদশাহর সমর্থকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন যুবরাজ সালমান। তবে গণমাধ্যম ও ধর্মীয় নেতাদের নিয়ন্ত্রণ এবং ভিন্নমতের দমন-পীড়নে বেশ সমালোচনার মুখে রয়েছেন তিনি।
রক্ষণশীল সৌদি সমাজ সংস্কারের নানা উদ্যোগ, ইয়েমেনে যুদ্ধ, কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ থেকে শুরু করে সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে যাওয়ার কারণে সারাবিশ্বের নজর তার দিকে।
২০১৭ সালের ২১ জুন মুহাম্মদ বিন নায়েফকে যুবরাজের পদ থেকে অপসারণ করা হয় এবং তার স্থলে মুহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ মনোনীত করা হয়। মুহাম্মদ জেদ্দায় ৩১ আগস্ট ১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাদশাহ সালমানের তৃতীয় স্ত্রী ফাহদা বিনতে ফালাহ বিন সুলতানের পুত্র।
বিন সালমান একজন ‘কাজপাগল’ মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি অফিসে দিনের ১৮ ঘন্টা সময় ব্যয় করেন।