বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী জানিয়েছেন, নিয়মিত চেকআপের জন্য হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাকে ভর্তির পরামর্শ দেন। তবে শারীরিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক আছে।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে চমেক হাসপাতালে আনার পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক আনাস মাদানী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হুজুরের বয়স হয়েছে। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগ আছে। সেজন্য নিয়মিত চেকআপ করাতে চমেক হাসপাতালে এনেছিলাম। ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেছেন, শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক আছে। তবে কিছু সময়ের জন্য যেন হাসপাতালে রাখা হয়। করোনার সময়ে আমরা কেবিনের বেডে উনাকে রাখতে চাইনি। সেজন্য আইসিইউতে ভালো বেডে রাখা হয়েছে।’
ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে গত ৭ জুন থেকে চমেকের আইসিইউতে সপ্তাহখানেক চিকিৎসা নিয়ে ১৬ জুন মাদরাসায় ফিরে যান আল্লামা শফী। তার আগে ১১ এপ্রিল অসুস্থ আল্লামা শফীকে চট্টগ্রামের বেসরকারি সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে ১৫ দিন চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম ফেরেন তিনি।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী এর আগেও বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বার্ধক্যের কারণে এসব রোগ মাঝেমধ্যেই অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়।
প্রায় শতবর্ষী ইসলাম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আল্লামা শাহ আহমদ শফী চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান।