রাজধানীর নিউ মার্কেট থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেলসহ ১১ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহা দিবা ছন্দার আদালত তাদের কারাগাারে পাঠানোর আদেশ দেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আদালত সূত্রে সংবাদটি জানা যায় ৷ ২৮ ডিসেম্বর তাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন, কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদি হাসান পলাশ, হাজী বাহাউদ্দিন নোবেল, জাকির হোসেন, খন্দকার নজরুল ইসলাম, সুমন, রাকিবুল ইসলাম, নুরুল আমিন পায়েল, কায়কোবাদ হোসেন কবির, লিটন হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম।
চার দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম।
গত ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অন্তঘাতমূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে লিফলেট বিলি করেন। লিফলেট বিলি করার সময় নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিউমার্কেট থানাধীন সোনারগাও রোডস্থ প্রাইম প্রিন্টার্স অভিযান পরিচালনা করে অপরাপর আসামি ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিদের দখল থেকে অনুমান পঞ্চাশ হাজার লিফলেট, পেট্রোল বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বিস্ফোরক জাতীয় উপাদান (গান পাউডার) অনুমান নয়শত গ্রাম, পনেরটি অবিস্ফোরিত ককটেল, পাঁচটি অবিস্ফোরিত চকলেট বোমা উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কে এম মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।