পাঁচ মাসে বিএনপির দেড় হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী দণ্ডিত

, আইন-আদালত

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-01-06 15:43:59

গত ৫ মাসে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের দেড় হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তাদের দাবি বিএনপিকে নির্বাচন ও আন্দোলন থেকে দূরে রাখতেই দ্রুততম সময়ে বিচার নিষ্পত্তি করে এ সব সাজা দেওয়া হয়েছে।

এ সব মামলার মধ্যে রয়েছে পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার বিভিন্ন মামলা। ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সালের বিভিন্ন ঘটনায় এ সব মামলা দায়ের করা হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পুরাতন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলে দেখা গেল চুরি ডাকাতিসহ অন্যান্য পুরাতন মামলা নিষ্পত্তির হার না বাড়লেও গত ৫ মাসে বিএনপির রাজনৈতিক মামলা নিষ্পত্তির হার দ্রুত বেড়ে গেল। ফোন করে করে সব মামলার সাক্ষি আদালতে হাজির করা হলো। অনেক ক্ষেত্রে রাত পর্যন্ত এ সব মামলার সাক্ষি নিয়ে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি করে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হতে থাকলো। এভাবে গত ৫ মাসে প্রায় ২ হাজারের মতো বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখতে প্রথম প্রথম নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হতে লাগলো। পরবর্তীতে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে গেলেও আন্দোলন ঠেকাতে নেতাকর্মীদের এ সাজা দেওয়া হয়।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হান্নান ভূঁইয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, শুধু ঢাকায় গত ৫ মাসে দেড় হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে দণ্ডিত করা হয়েছে। এটা অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিক বেশি।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল বার্তা২৪.কমকে জানান, মামলা দ্রুতগতিতে নয় স্বাভাবিক গতিতেই নিষ্পত্তি হয়েছে। যেসব মামলায় সাজা হয়েছে তার বেশিরভাগেই পুরাতন মামলা। এসব মামলায় সাক্ষি আসলে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষি না নিয়ে কোন উপায় থাকে না। প্রয়োজনে প্রতিদিনই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের বিধান আছে। সাক্ষি আসলে রাতেও সাক্ষ্য নিয়ে তা শেষ করতে হয়। তারা সকল সাক্ষিকে জেরাও করছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির দাবি অনুযায়ী মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা, নেতাকর্মীদের নির্বাচন ও আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে তাদের সাজা দেওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক। ওইসব মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও রায়ে আইনের কোন ব্যত্যয় হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর