মুখের মতো করে একইভাবে ঠোঁটের যত্ন অনেক সময় নেয়া হয় না। ফলে ঝকঝকে মুখে ফাটা ঠোঁট ভীষণ ভাবে চোখে পড়ে। অনেকেরই সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায় কালচে ঠোঁটের জন্য। গোলাপ পাপড়ির মতো গোলাপি আভার ঠোঁট পেতে হলে এর পেছনে সময় তো দিতেই হবে। সহজ ও ঘরোয়া কিছু টিপস মেনেই যত্ন নিতে পারেন আপনার ঠোঁটের।
ঠোঁটের যত্নের উপকরণ:
যেভাবে বানাবেন:
এই সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে একটা এয়ারটাইট শিশিতে রেখে দিন। ঠোঁটের মরা কোষ তুলতে স্ক্রাবার হিসেবে প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করুন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা প্রাকৃতিক ভাবেই ধরে রাখে। আর চিনি মরাকোষ সরিয়ে ঠোঁটকে করে নরম ও মোলায়েম।
ফাটা ঠোঁট সারাতে:
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সারাবছরই অনেকে ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় ভোগেন। তাতেই অর্ধেক সৌন্দর্য মাটি। ফাটা ঠোঁটের জন্য গলানো মাখন সারারাত ঠোঁটে লাগিয়ে ঘুমান। পরপর ৩-৪ দিন নিলেই দেখবেন ঠোঁট চুঁইয়ে গ্ল্যামার ঝরছে। মাখলের বদলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। আর গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ঠোঁটে গোলাপি আভা:
কালচে ঠোঁট কারো ভালো লাগে না! এই সমস্যার সমাধানে রোজ গাঢ় শেডের লিপস্টিক লাগানো বন্ধ করুন। তাই বলে অনুষ্ঠান বাড়িতেও কি ঠোঁট রাঙাবেন না! তা কেন? সাজে পূর্ণতা আনতে অবশ্যই ঠোঁট রঙিন হোক, তবে সারাক্ষণ নয়। সবসময় ঠোঁট লিপস্টিকে ঢাকা থাকলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে না। ফলে অক্সিজেনের অভাবে ঠোঁট কালচে দেখায়।
ঠোঁটের কালচে ভাব কমাতে:
৩ চামচ নারকেল তেল ও ৩ চামচ আমন্ড অয়েল। এই দুটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে শিশিতে ভরে রাখুন প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য। লিপ বামের বদলে এই মিশ্রণটি সারাদিনে বেশ কয়েকবার ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের কিনারায় কালচে ভাব:
ঠোঁট কালচে না হলেও অনেকেরই ঠোঁটের বর্ডারলাইন বা কিনারা কালচে হয়। এর জন্য সবচেয়ে ভালো ঠাণ্ডা দুধের সর নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে সেটা ঠোঁটে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দিনে ৩-৪ বার করলে দ্রুতই তা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও কালচে ভাব দূর করতে ঠোঁট কামড়ানো বা জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন।
ঠোঁটের কোণা ফাটা:
ঠোঁটের কোণা ফাটলে ব্যথা-জ্বালায় অস্থির হয়ে যান। তাছাড়া সৌন্দর্যহানি তো আছেই। এই সমস্যার সমাধান দুধের সর আর ঠাণ্ডা জলের সেঁক। দিনে ২-৩ বার দুধের সর দিয়ে মাসাজ আর ঠাণ্ডা জলের সেঁক দিলে আরাম পাবেন; সমস্যাও কমবে।
নিয়মিত এই টিপস মানলে আপনি চুপ থাকলেও কথা বলবে, অন্যের নজরও কাড়বে আপনার ঠোঁট।