শীতের মৌসুমে অনেকেরই ঠোঁট শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। কয়েকটি সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার শুষ্ক ও ফাঁটা ঠোঁট দূর করতে সহায়তা করতে পারে। চিনাবাদাম, গাজরের হালুয়া এবং আরও অনেক সুস্বাদু খাবারের মৌসুম শীতকাল। এই শীতকালীন খাবারগুলোর মতো শুকনো ঠোঁট আনন্দদায়ক নয়। ঠান্ডা বাতাস এবং বায়ুমণ্ডলে কম আর্দ্রতা ত্বককে শুষ্ক এবং রুক্ষ করে তোলে।
শীতের মৌসুমে ফাঁটা ঠোঁট খুব সাধারণ পরিস্থিতি যার মুখোমুখি অনেকেই হন। ঠোঁটের ত্বক মুখের ত্বকের চেয়ে আলাদা। এটি পাতলা এবং আরও সূক্ষ্ম। ঠোঁট ফাঁটা ঠেকাতে কয়েকটি সহজ কার্যকর প্রতিকারের চেষ্টা করতে পারেন। এই শীতে শুকনো এবং ফাঁটাঠোঁট বিদায় জানাতে এই প্রতিকারগুলোর চেষ্টা করুন।
এক্সফোলিয়েশন:
ত্বকের যত্ন নেওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ। ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে ত্বকের মৃত কোষ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।
নারিকেল তেল:
বহুমুখী এই তেলটি ত্বক, চুল এমনকি স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত উপকারী। শীতের মৌসুমে নারিকেল তেল ঠোঁটেও ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ঠোঁটকে হাইড্রেড রাখবে এবং ঠোঁট ফাঁটা রোধ করবে।
মধু:
শীতকালের ডায়েটে মধু যোগ করার পাশাপাশি স্কিনকেয়ার রুটিনে মধু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে ফলে ঠোঁটকে হাইড্রেটেড রাখতে পারে। ঠোঁটের স্ক্রাবে মধু যুক্ত করতে পারেন বা কিছুক্ষণের জন্য আপনার ঠোঁটে কাঁচা মধু প্রয়োগ করতে পারেন।
পেট্রোলিয়াম জেলি:
শুষ্ক ত্বক এবং ঠোঁট ফাঁটা ঠেকাতে সাধারণত পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা হয়। এটি আপনার ঠোঁটে একটি স্তর তৈরি করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। শুষ্ক ঠোঁট প্রতিরোধ করার জন্য যখনই প্রয়োজন পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার ঠোঁটে রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
নিয়মিত পানি পান করুন:
শীতের মৌসুমে পানি খুব কম পান করা হয়। ফলে এটি পরিস্থিতি আরও খারাপ করে এবং ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সারা দিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।