বর্তমানে আমাদের জীবনও মানসিক চাপে ভরপুর। ফলে অকালে ধূসর চুল খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কেবল জিনগত কারণে হয় না। ভারসাম্যহীন ডায়েট, ফাস্টফুড, সাদা ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার, এরিটেড পানীয় এবং শর্করা জাতীয় খাবার অকাল ধূসর চুলের দিকে পরিচালিত করে।
ভিটামিন বি ১২, আয়রন এবং ওমেগা ৩ চুলের জন্য অতন্ত্য প্রয়োজনীয়। ত্বক এবং চুলের স্বার্থে প্রতিদিনের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণ সালাদ, মাছ এবং মুরগির মতো পাতলা মাংস, ফল এবং সবুজ শাকসব্জি অন্তর্ভুক্ত করুন। অ্যালকোহল পান সীমাবদ্ধ করুন এবং নারকেল পানি, লেবু পানি, তাজা ফলের রস বেশি করে গ্রহণ করুন।
অকাল ধূসর চুলকে কীভাবে প্রতিরোধ করতে চুল এবং ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিন। চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পরীক্ষিত টিপস জেনে নিন।
১ কাপ আমলা ৫০০ মিলি নারকেল তেলের সাতে লো মিডিয়াম ফ্লেমে ২০ মিনিটের মত ভাজুন। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি এয়ারটাইট বোতলে ঢেলে রাখুন। সপ্তাহে দুবার হেয়ার অয়েল ম্যাসাজ হিসাবে ব্যবহার করুন।
একগুচ্ছ কারি পাতা, ২ চামচ আমলা গুঁড়ো এবং ২ চামচ ব্রাহ্মি গুঁড়ো নিন।। এগুলোকে একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। চুলে প্রয়োগ করে এক ঘন্টা রেখে দিন এবং ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নীল প্রাকৃতিক কালারেন্ট যা চুল কালার করার জন্য প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়। ধূসর চূল দূর করতে মেহেদীর সঙ্গে মিশ্রিত করে ব্যবহার করলে চুল কালো হয়।
নারকেল তেল এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে চুল কালো করতে পারেন। এই দুইয়ের সংমিশ্রণের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে যা সময়ের সাথে সাথে চুলকে কালো করে দেয়।
ব্ল্যাক টি ধূসর চুল প্রতিরোধে কার্যকর উপাদান। শ্যাম্পু করার পরে এটি আপনার চুলে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। কালো চা পাতা ২ ঘন্টা গরম পানিতে ভিজিয়ে মসৃণ পেস্ট করে নিন। লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলার আগে এটি ৪০ মিনিটের জন্য হেয়ার মাস্ক হিসাবে প্রয়োগ করুন।