ঝরঝরে ভাতের চেয়েও ঝরঝরে শরীর রাখতে ভাতের মাড় ঝরিয়ে নেন অনেকেই। কারণ, ভাতে মাড় বসে গেলে তা খাওয়ার পর পেট ও শরীর ভার হয়ে যায়। আবার নিয়মিত মাড় বসা ভাত খেলে দ্রুত মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভবনাও থাকে। তবে ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে ত্বক ও চুলের যত্নে কাজে লাগাতে পারেন নানা উপায়ে।
জেনে নিন ভাতের মাড়ের নানাবিধ ব্যবহার—
ভাতের মাড় গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ত্বকের জ্বালাভাব, চুলকানি এবং র্যাশ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ব্রণর সমস্যা দূর করতে ভাতের মাড় ঠান্ডা করে, তুলো দিয়ে ত্বকের ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগান। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।
ভাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া অংশে নিয়মিত মাখলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এছাড়াও ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী।
ভাতের মাড়ে পানি মিশিয়ে খানিকটা পাতলা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুলে ভাতের মাড় দিয়ে মিনিট তিনেক রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের ডগা ফাঁটা সমস্যায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এছাড়া চুল গোড়া থেকে মজবুত ও চকচকে করতে সাহায্য করে।