ওয়াক্সিংয়ের নাম শুনলে প্রায় সবাই ভয় পান। শরীরের অবাঞ্ছিত লোম তুলতে ওয়াক্সিংয়ের চেয়ে ভালো কোনও বিকল্প নেই। বেশিরভাগ মেয়েরায় পার্লারে গিয়ে ওয়াক্সিং করান। কিন্তু লকডাউনে পার্লার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ তো ব্যথা লাগার জন্যই ওয়াক্সিং থেকে পিছিয়ে আসেন। তবে কয়েকটা কৌশল অবলম্বন করে ঘরেই ওয়াক্সিং করতে পারবেন আপনিও। এতে অতিরিক্ত ব্যথার হাত থেকেও নিষ্কৃতি পেতে পারেন।
কেন ওয়াক্স করাবেন
ওয়াক্সিং করলে লোম রোমকূপের ভিতর থেকে উঠে আসে। আবার গজাতে তিন সপ্তাহ থেকে দেড় মাসের কাছাকাছি সময় নেয়। এতে সময় বাচে এবং ত্বকও স্মুথ থাকে।
ব্যাথামুক্ত ওয়াক্স
ওয়াক্স করলে ব্যথা লাগে বলে অনেকেই করান না। কিন্তু ত্বকের ধরন বুঝে ওয়াক্সিং করালে ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এছাড়াও কিছু কৌশল অবলম্বন করলে ঘরে বসেই ব্যথামুক্ত ওয়াক্সিং করতে পারবেন। জেনে নিন উপায়—
স্ক্রাব করুন
ওয়াক্সিং করার আগে স্ক্রাব করুন। স্ক্রাবিং লোমকূপ থেকে ত্বকের মৃত কোষগুলো সরিয়ে দেয়। এতে ত্বক নমনীয় হয় ফলে ব্যথা কম অনুভূত হয়। তাছাড়াও এক্সফোলিয়েশন করলে, তা সদ্য গজাতে থাকা ছোট চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং ওয়াক্সিংয়ের আগে ত্বককে মসৃণ করে।
পাউডার ব্যবহার করুন
ওয়াক্সিং করার সময় বেবি পাউডার ব্যবহার করুন। এতে ত্বক তাৎক্ষণিকভাবে অনেক বেশি নমনীয় হয়ে যায়। ফলে ওয়াক্সিং করতে সুবিধা হয়। অন্য যেকোনও ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেবি পাউডার ত্বককে অনেক দ্রুত নমনীয় করে।
লোশন ব্যবহার করবেন না
ওয়াক্সিং করার আগে কখনই ত্বকে তৈলাক্ত লোশন বা অয়েনমেন্ট ব্যবহার করবেন না। তেল বা ময়েশ্চারাইজার ওয়াক্সিংকে আরও কষ্টদায়ক করে দেয়। ওয়াক্সিং করার আগে চেষ্টা করবেন ত্বককে যতটা সম্ভব শুকনো রাখার।
ওয়াক্সের পর ত্বকের যত্ন
ওয়াক্সিং এর পর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে মুছে নিন। লোম তুলে ফেলার ফলে শরীরের স্থানটি লাল হয়ে যায়, অনেক সময় জ্বালাপোড়া করে। এরপরে অ্যালোভেরা জেল কিংবা বরফ দিয়ে মালিশ করুন। এর পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ম্যাসাজ ক্রিম লাগিয়ে নিন। এরপর ৬ ঘন্টা কোনও পানি লাগাবেন না।