বর্ষায় আবহাওয়া স্যাঁতস্যাঁতে হওয়ার সঙ্গে প্রভাব পড়ে ত্বকেও। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ত্বকের ধরনেও পরিবর্তন দেখা দেয়। খুব স্বাভাবিকভাবে ত্বকে কিছু সমস্যা তৈরি হয়।
শীতে ত্বকের যত্নে আমরা সতর্ক হলেও বর্ষায় ততটা হইনা। অথচ বর্ষায়ও সঠিকভাবে নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করার ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে। হেলাফেলা করা যাবে না একেবারেই। ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহজ কিছু পরিচর্যা যথেষ্ট।
সাধারণত ত্বক তিন ধরনের হয়ে থাকে- শুষ্ক, তৈলাক্ত ও মিশ্র। জেনে নিন তিন ধরনের ত্বকের জন্যেই বর্ষাকালীন যত্ন—
১. প্রতিদিন ৩-৪ বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ১-২ বার মুখ ধোয়াই যথেষ্ট। মুখ পরিষ্কার রাখতে ক্ষারবিহীন ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
২. মুখের রোমকূপে যেন ময়লা জমতে না পারে সেজন্য এক দিন পরপর স্ক্রাবার ব্যবহার করতে হবে।
৩. স্ক্রাবার ব্যবহারের পর অ্যালকোহল মুক্ত টোনার ব্যবহার করতে হবে। যেন ত্বকের রোমকূপ ছোট হয়ে যায়। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য উন্মুক্ত রোমকূপ ক্ষতিকর।
৪. বর্ষাকালে অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহারে বিরতি দেন। যেটা করা উচিৎ নয়। বর্ষাকালেও হুটহাট তীব্র রোদের আলোতে ত্বকে রোদেপোড়া ভাব তৈরি হতে পারে।
৫. খুব ভারী মেকআপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিতান্তই যদি মেকআপ করার প্রয়োজন হয় তবে ওয়াটার প্রুফ মেকআপ পণ্য ব্যবহার করতে হবে।
৬. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরা রাখতে লোশন ঘরানার সিরাম ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক উজ্জ্বল থাকার পাশাপাশি কোমল থাকবে।
৭. বর্ষাকালে অবশ্যই ব্লিচিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমন স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় যা ত্বকের উপর মারাত্বক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়।
৮. ঠোঁটের জন্য ব্যবহার করতে হবে মিল্ক ক্রিম। যদি ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যায় তবে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে লিপস্টিক ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে দিতে।
মুখের ত্বকের যত্নের সাথে হাত ও পায়ের প্রতিও যত্নশীল হতে হবে। অন্যান্য সময়ের মতো বর্ষাকালেও নিয়মিত পেডিকিউর ও মেনিকিউর করতে হবে।
বিশেষত বাইরে থেকে বাসায় ফিরেই হাত ও পা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। নইলে বাইরের কাদা ও ময়লায় হাত ও পায়ের ত্বক অল্প সময়ের ভেতর নিস্প্রভ হয়ে উঠবে।