প্রাচীনকাল থেকেই নারকেল দুধ ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ নারকেল বা নারকেলের দুধ শুধু যে খাদ্য হিসেবেই ভালো তা নয়। এটি ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় দারুন কাজ করে। নারকেলের দুধে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ঠ্য ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। আর তাইতো সৌন্দর্যচর্চায় নারকেল দুধের জুড়ি মেলা ভার।
সৌন্দর্যচর্চায় নারকেল দুধের উপকারীতা—
ত্বককে আর্দ্র রাখে
নারকেলের দুধ ত্বকের শুষ্কতা সরিয়ে ত্বককে করে তোলে মোলায়েম ও আর্দ্র। তুলো দিয়ে ভাল করে সারা মুখে নারকেলের দুধ লাগান। শুকিয়ে গেলে আরও কয়েকবার লাগাতে পারেন, তারপর নরমাল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
রোদে পোড়া ত্বক শীতল করে
ত্বক রোদে পুড়ে গেলে নারকেলের দুধ ব্যবহার করুন। এটি পোড়া ত্বককে শীতল করে। তুলো দিয়ে ভাল করে নারকেলের দুধ রোদে পোড়া জায়গায় চেপে চেপে লাগান, তাহলে লালচে ভাব ও জ্বালাভাব দুটোই কমবে।
ব্রণের সমস্যা কমায়
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়। নিয়মিত নারকেলের দুধ মাখলে ত্বকে জমা অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে যায়। ফলে ব্রণ কম হয়।
চুলের জেল্লা ফেরায়
নিয়মিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করেও চুলের স্বাভাবিক জেল্লা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? কিংবা চুল রুক্ষ হয়ে থাকছে? ব্যবহার করুন নারকেলের দুধ। মাথার ত্বকে প্রতিদিন পাঁচ মিনিট নারকেল দুধ মালিশ করলে চুলের জেল্লা ফিরবে।
নতুন চুল গজায়
অনেকেরই চুলের ডগা ফেটে যায় ও চুল ঠিক মতো বাড়ে না। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকায় তা চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়ম করে নারকেলের দুধ লাগালে চুল শক্ত ও ঘন হবে।
চুল কন্ডিশনিং করে
নারকেল দুধে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই। যার ফলে চুলে খুব ভাল ভাবে কন্ডিশনিং করতে পারে নারকেলের দুধ। শ্যাম্পু করার পর নারকেলের দুধকে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল নরম হবে।