বর্ষাকালে ত্বক ও চুলের যত্ন নেয়া হলেও পায়ের ব্যপারে থাকে অনীহা। অথচ বর্ষায় পায়ের ক্ষতি হয় সবথেকে বেশি। কারণ কাদা-পানিতে পা নোংরা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার অনেকের পা থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়, কিংবা বৃষ্টির পানি মাড়িয়ে পায়ে অ্যালার্জিও হতে পারে। তাইতো বর্ষায় পায়ের সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
লবণ পানি
বর্ষাকালে কাদা-পানি মাড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। ফলে পা নানা ধরনের জীবাণুর সংস্পর্শেও আসছে। আর এই জীবাণু নাশ করার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে লবণ। গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তাতে মিনিট পনেরো পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি ঝামা দিয়ে পা ঘষে মৃতকোষগুলো দূর করুন। এরপর পা ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে ক্রিম মেখে নিন।
কর্পূর ও ট্যালকম পাউডার
বর্ষাকালে মোজা পরলে পা থেকে বেশি দুর্গন্ধ বেরোয়। সেই সমস্যা কমাবে কর্পূর ও ট্যালকম পাউডার। মোজা পরার আগে পায়ে ভাল করে কর্পূর ও ট্যালকম পাউডার মিশিয়ে লাগিয়ে নিন, গন্ধ দূর হবে।
টি ট্রি অয়েল ও পেঁয়াজের রস
বর্ষায় চামড়ার জুতো থেকে পায়ে অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকক্ষণ পানিতে পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও এই সমস্যা হয়। এ থেকে বাঁচতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে পেঁয়াজের রস লাগান। এ ছাড়া পায়ের আঙুলে জীবাণু সংক্রমণ থেকে বাঁচতে টি ট্রি অয়েল মালিশ করতে পারেন।
লেবু ও গরম পানি
যাদের বেশি পা ঘামে তাদের জন্য লেবু ও গরম পানি উপকারী। এই সমস্যা কমাতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। আর বাইরে বেরনোর সময় পায়ে বাতাস লাগে এরকম জুতো পরুন।
ক্ষতস্থান ঢেকে রাখুন
যদি কোথাও কেটে-ছিড়ে যায় তবে সেই ক্ষতস্থান যেন খোলা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বর্ষাকালে পানিবাহিত রোগ বেশি হয়। বৃষ্টির জমা পানির সঙ্গে নোংরা পানি মিশে যায়। এতে ক্ষতস্থান খুলে রাখলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজনে ওয়াটারপ্রুফ ব্যান্ডেড ব্যবহার করুন।