পুষ্টিকর একটি ফল হলো কলা। সারা বছরই পাওয়া যায় এই ফলটি। পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬ ইত্যাদি পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা কেবল মাত্র ত্বকই নয়, চুলকেও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
সৌন্দর্যচর্চায় কলা ব্যবহারের উপকারিতা জেনে নিন-
১. হেয়ার স্ট্রেট করিয়েছেন বা নিয়মিত চুলে রং করান? এসব রাসায়নিকের ব্যবহার অজান্তেই চুলের ক্ষতি করছে। কলার প্যাক ব্যবহার করলে ক্ষতিগ্রস্ত চুল অনায়াসেই ফিরে পাবে সুস্বাস্থ্য।
২. কন্ডিশনিং করেও চুলের রুক্ষভাব কমছে না? চুলে লাগান কলার প্যাক। চুল মোলায়েম হবে দ্রুত। কলার সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে চুলে লাগান। চুল ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।
৩. ত্বকের চামড়া ঝুঁলে যাচ্ছে? কলার প্যাকে টানটান হবে ত্বক। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যা প্রতিহত করতেও কলার ফেসপ্যাকের জুড়ি নেই। তবে এক্ষেত্রেও কলার সঙ্গে দই মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে।
কী ভাবে বানাবেন কলার প্যাক?
রূপচর্চার-দুনিয়ায় ফ্রুট ফেশিয়াল বেশ জনপ্রিয়। আর সেটার প্রধান উপাদান কলা। কলার রূপটান বানাতে গেলে লাগবে কলা, দই আর মধু। ত্বক ও চুল দু’টি ক্ষেত্রেই এই প্যাক ব্যবহার করতে পারবেন। কলা চটকে নিয়ে তার সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ত্বক বা চুলে ৩০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
তবে কলার এই রূপটানে আরও অন্যান্য ফলও মেশাতে পারেন। পাকা পেঁপে, কমলা লেবু ও আপেলের টুকরোও ত্বক ও চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। পাকা পেঁপে খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে কলার সঙ্গে আপেল মেশালে সেটা দারুণ টোনারের কাজ করে।