সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা গোসলের পর ত্বকে শুষ্কতার টান অনুভূত হয়। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ত্বক এখন আর্দ্রতা হারাবেই। যে কারণে প্রয়োজন উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের। সবসময়ই কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার করার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়। কারণ স্টোর থেকে কেনা পণ্যের চাইতে বহুগুণ বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে।
এই শীতে ত্বকের পরিচর্যায় বেছে নিন আমলকি। ইতোপূর্বে আমলকির নানাবিধ উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করে হয়েছে। আজকে জেনে নিন চমৎকার এই উপাদানটি দিয়ে তৈরি তিনটি ফেস প্যাকের বিবরণ।
ত্বক থেকে কালচে ভাব ও রোদেপোড়া ভাব দূর করার জন্য এই ফেস প্যাকটি সবচেয়ে উপকারী। প্যাকটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে তিন টেবিল চামচ আমলকির পাউডার, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও দুই টেবিল চামচ লেবুর রস। উপাদানগুলো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। ম্যাসাজ শেষে ১৫-২০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ফেস প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
শীতের সময়ে ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভালো মানের এক্সফলিয়েট, যা মুখের ত্বকের মরা চামড়া দূর করবে সম্পূর্ণভাবে। সেক্ষেত্রে আমলকি দিয়ে তৈরি স্ক্রাব হবে সবচেয়ে ভালো। স্ক্রাবটি তৈরি জন্য প্রয়োজন হবে দুই টেবিল চামচ আমলকির পাউডার, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ চিনি।
প্রথমে আমলকি ও লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে এরপর চিনি যোগ করতে হবে। চিনি পুরোপুরি যেন গলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্ক্রাব তৈরি হয়ে গেলে পুরো মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে মিনিট পর মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মাখিয়ে নিতে হবে। সাধারণত সপ্তাহে একদিন এই স্ক্রাব ব্যবহার করাই যথেষ্ট। তবে ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী দুইবারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করার জন্য ও সহজেই ময়লা দূর করতে এই ফেসপ্যাকটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। দুই-তিন টেবিল চামচ আমলকির পাউডার, দুই টেবিল চামচ দই, এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিতে হবে। ২০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দুই দিন পরপর ফেস প্যাকটি মাসখানেকের জন্য ব্যবহার করলে সহজেই পরিবর্তন বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: আমলকির সঙ্গে হোক শীতের শুরু
আরও পড়ুন: মেকআপ ছাড়াই সুন্দর আপনি