অসাবধানতাবশত পছন্দের কার্পেটের উপর হাত থেকে চা, কফি, কোমল পানীয় কিংবা খাবার পড়ে গেলেই বিপত্তি। যে কারণে কার্পেট ব্যবহারের প্রতি বাড়তি সতর্কতা ও সাবধানতা বজায় রাখা প্রয়োজন সবসময়।
কার্পেট পরিষ্কার করা খুব সহজ কোন কাজ নয় মোটেও। তবে ছোট ও প্রয়োজনীয় কিছু টিপস জানা থাকলে, সহজেই কার্পেট পরিষ্কার করে নেওয়া যাবে এবং দীর্ঘদিন নতুনের মতো রাখা যাবে।
কার্পেটের উপর কোন খাবার বা পানীয় পড়ার পর বেশি সময় পার হতে দেওয়া যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব টিস্যু পেপারের সাহায্যে খাবার বা পানীয় শুকিয়ে নিয়ে, পানির সাহায্যে কার্পেট মোছার চেষ্টা করতে হবে। দেরী করলে কার্পেটে দাগ বসে যাবে।
কার্পেট পানিতে ধোয়ার আগে অবশ্যই ভ্যাকুয়াম দ্বারা ধুলাবালি পরিষ্কার করে নিতে হবে। ধুলাময়লা থাকা কার্পেট পানিতে ভিজিয়ে নিলে, কার্পেটের সঙ্গে ধুলাময়লা বসে যাবে। যা সহজে উঠতে চাইবে না।
কার্পেট পরিষ্কার করার সময় অনেকেই খুব কমন একটা ভুল করেন। ঘরের কর্ণারের স্থান থেকে কার্পেট পরিষ্কার করা শুরু করেন। আদতে দরজার কাছ থেকে কার্পেট পরিষ্কার করা শুরু করতে হবে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনিং কিংবা ব্রাশের সাহায্যে পরিষ্কার করতে হলেও, লম্বালম্বিভাবে কার্পেট পরিষ্কার করতে হবে। নইলে কার্পেটের তন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং কার্পেট দ্রুত পুরনো হয়ে যায়।
সাবানের পানি কিংবা ক্লিনিং প্রোডাক্টের ভেতর কার্পেট খুব লম্বা সময় ভিজিয়ে রাখা যাবে না। এতে করে কার্পেট ড্যাম হয়ে যায় এবং সম্পূর্ণ শুকাতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়।
অবশ্যই কার্পেটের মতো ভারি জিনিস পরিষ্কার করা কষ্টকর বিষয়। এরপরেও কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কারণ কার্পেট দীর্ঘ সময় অপরিষ্কার ও অযত্নে থাকলে খুব সহজেই তাতে রংচটা ও পুরনো ভাব দেখা দেয়। এছাড়াও, ঘরে অপরিষ্কার কার্পেট থাকলে অসুস্থ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুন: কফির দাগ উঠবে সবকিছু থেকেই!
আরো পড়ুন: ঝেড়ে ফেলুন পুরনো জঞ্জাল