নিম গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। নিম এমনই একটি উপকারী গাছ, যার ডাল, পাতা, রস সবই ওষধি গুণাগুণ সম্পন্ন। শরীরের একাধিক সমস্যা সমাধানে নিমের ব্যবহার অপরিহার্য।
কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিম পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বকের দাগ দূর করতেও নিম খুবই কার্যকর।
এছাড়াও নিম রক্ত চলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। পোকামাকড় কামড় দিলে নিমের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে ব্যবহার করলে ব্যথা উপশম হয়। নিমপাতার গুঁড়া করে পানিতে মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে ব্রণের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও কৃমি নাশক হিসেবে নিম খুবই কার্যকর। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিমের রয়েছে অসাধারণ গুণাগুণ।
নিমের উপকারিতা:
১। ত্বকের সমস্যা সমাধান: রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুবই উপকারী। আমাদের অনেকেরই মাথার ত্বকে চুলকানি ভাব হয়। এই সমস্যা সমাধানে নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত ব্যবহার করলে এ চুলকানি কমবে। নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
২। দাঁতের রোগ সমাধানে নিম: প্রাচীনকাল থেকেই দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। দাঁত মজবুত ও দন্ত রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত নিমের পাতা কিংবা নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন।
৩। চুল পড়া বন্ধ ও খুশকি দূর করতে নিম: চুল পড়া বন্ধ ও খুশকি দূর করে চুলকে উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করতে নিম পাতার ব্যবহার বেশ কার্যকরী। শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন, এতে খুশকি দূর হবে। সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া কমার সাথে সাথে চুল উজ্জ্বল ও কোমল হবে।
৪। কৃমিনাশক হিসেবে নিম: পেটে কৃমি হলে অনেক সময় শিশুরা রোগা হয়ে যায়। অনেকের পেট বড় দেখায়। শিশুদের পেটের কৃমি দূর করতে নিমের পাতা বেশ কার্যকরী।