দূষণের কারণে বাড়ছে হাঁপানিতে আক্রান্তের সংখ্যা। সুস্থ থাকতে ভরসা রাখবেন কোন খাবারে?
অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা বলে থাকেন যে, হাঁপানি মূলত বংশগত। পরিবারের কারও সমস্যা থাকলে হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়।
বর্তমানে অতিরিক্ত দূষণের কারণে পৃথিবীতে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা। সাধারণ ভাবে শ্বাসনালীর প্রদাহের কারণে হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়।
যেকোনো বয়সীদের হাঁপানি হতে পারে। তবে শীতকালে বয়স্ক মানুষরা অ্যাজমা বা হাঁপানির মতো রোগে ভোগে বেশি। তাই অ্যাজমা রোগীদের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করা উচিত। তাদের চলাফেরা, ওঠা-বসা, খাবারদাবার-এক কথায় জীবনযাত্রার সব বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
বাইরে বের হলে মাথা ও কান ঢেকে গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। ধুলাবালি, পশুর লোম, ফুলের রেণুর সংস্পর্শ পরিহার করে হাতের কাছে প্রয়োজনীয় ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ সব সময় সংগ্রহে রাখতে হবে।
তবে চিকিৎসকদের মতে, বছরের যে কোনও সময়ে বাড়তে পারে হাঁপানির সমস্যা। এই সমস্যা যাঁদের আছে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিজেদের সঙ্গে সব সময়ে ইনহেলার রাখেন। তবে হাঁপানির সমস্যা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ফলের উপরেও।
১) বেদানা: ফাইবার, ভিটামিন, কে এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বেদানা হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্টে যাঁরা ভুগে থাকেন, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তাঁরা রাখতে পারেন বেদানা।
২) আপেল: শরীরের যত্ন নিতে আপেল খুব উপকারী একটি ফল। ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আপেল ওজন কমাতে পারে এবং পেটের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে এই ফল।
৩) পালংশাক: প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার, ফসফরাস এবং পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ পালংশাক। চুল ও ত্বকের যত্ন নেয় এই শাক। পাশাপাশি, হাঁপানির সমস্যাও কমায়।