শীতের সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। এর প্রভাব পড়ে ঠোঁটে। ঠোঁট শুকিয়ে যায়। অনেক সময় ফেটে রক্ত বের হতেও দেখা যায়। তাই এ সময় ঠোঁটের যত্নে নিয়মিত ভ্যাসলিন ও লিপজেল ব্যবহার করা দরকার। এতে ঠোঁট নরম ও কোমল থাকবে।
এর পাশাপাশি নিতে হবে ঠোঁটের বাড়তি যত্ন। সে জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
চালের গুঁড়া ও মধু
এক চা চামচ আতপ চালের গুঁড়া, মধু এক চা চামচ, মসুর ডাল বাটা এক চা চামচ, এক চিমটি হলুদের গুঁড়া ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ঠোঁটে লাগিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট রেখে ভেজা হাতে ম্যাসাজ করুন। সার্কেল ও এন্টি সার্কেলভাবে দুই মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। ভেজা থাকতেই লিপজেল বেশি পরিমাণে লাগিয়ে দুই মিনিট পর আবার ম্যাসাজ করে মুছে ফেলুন। নরম থাকবে ঠোঁট।
অলিভ অয়েল ও চিনি
এক চা চামচ অলিভ অয়েল, এক চা চামচ চিনি, আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটা ঠোঁটে মেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ভেজা হাতে ম্যাসাজ করে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলুন। এতে মরা কোষ উঠে গিয়ে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকবে।
অ্যালোভেরা
প্রায় সবার বাড়িতেই এই গাছ রয়েছে। অ্যালোভেরার পাতার ভিতর যে জেল পাওয়া যায়, তা আপনার ঠোঁটের জন্য খুবই ভালো। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। এমনকি আপনার ঠোঁটকেও রাখে নরম।
আপনি বাজারে চলতি অ্যালোভেরা কিনতে পারেন। এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়েও তা ঠোঁটে লাগাতে পারেন। না হলে শুধু অ্যালোভেরা জেলও ঠোঁটে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন। আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতার ঘাটতি হবে না।
দুধ এবং গোলাপের পাপড়ি
ঠোঁটে লাগাতে পারেন এমন অল্প পরিমাণে দুধ নিন। একটি পাত্রে এই দুধের মধ্যে কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। ৩ ঘণ্টা ওভাবেই রেখে দিন। তারপর সেই দুধ দিনে অন্তত ২-৩ বার ঠোঁটে লাগাতেই হবে। এতে সারাদিন আপনার ঠোঁটে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ঠোঁট থাকবে নরম এবং গোলাপি আভা দেখেও তাক লাগবে সবার।