শীতকালে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি খেতে হয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যতম ফল আমলকি। একে সুপারফুডও বলা হয়। জেনে নিন আমলকির পুষ্টিগুণ।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই সময়ে আমলকি খেলে শরীর সুস্থ থাকবে, রোগব্যাধিকে দূরে রাখবে।
ভিটামিন সি থাকার সুফল
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। যা খুবই কাজের। বিশেষ করে ঠান্ডা থেকে শরীরকে বাঁচাতে।
১০০ গ্রাম আমলকিতে কমলা লেবুর তুলনায় ১০ থেকে ৩০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। প্রত্যেক দিন আপনি যদি আমলকি খান, তা হলে হার্টের রোগ থেকে বাঁচা যেতে পারে।
ইমিউনিটি সিস্টেমের জন্য কার্যকর
শীতের সময়ে ইমিউনিটি সিস্টেম ঠিক রাখা খুবই দরকারি। আমরা সেই কাজ আমলকির সাহায্যে খুব সহজেই করতে পারি।
এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। যা ঠান্ডা এবং ভাইরাস থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করে আর শরীর রোগের হাত থেকে রক্ষা পায়।
গলা ব্যাথা কমাতে
অনেকেরই ঠান্ডা লাগলে গলায় ব্যাথা হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় অবশ্যই প্রয়োজন আমলকির, কারণ এটি ভিটামিন সি দ্বারা পরিপূর্ণ। এমনকি ঋতু পরিবর্তনের সময় গলা ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে খালি পেটে আমলকির রস পান করার অভ্যেস করুন। খুব সহজেই গলা ব্যথা কমে।
মুখের ভেতর ছুলে যাওয়া
যদি আপনার মুখের ভেতরে মাঝেমাঝেই ছুলে যায়, তা হলে আমলকি দারুণ কাজ দিতে পারে। এর থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ
আমলকির আরও কয়েকটা বড় গুণ হচ্ছে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা। এতে রয়েছে ক্রোমিয়াম নামে একটি জিনিস, যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্রন দূর করতে
আমলকির আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল এটা রক্ত পরিষ্কার করে। তাই ব্রনের সমস্যা থাকলে সেটাও অনায়াসে দূর হয়ে যায়। ত্বক চকচকে থাকে।
ওজন কমাতে
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি দুটোই যখন একসাথে মিশে যায় তখন ওজন কমানোর প্রচেষ্টা কখনোই বৃথা যায় না। শরীরের ফ্যাট, কোলেস্টরল মাত্রা ও অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ কমানোর জন্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট খুবই প্রয়োজনীয়। আমলকিতে উচ্চ পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকার জন্য বেশিরভাগ শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সঠিক ভাবে হয় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
খুশকি দূর
এই সমস্যা দূর করতে প্রত্যেকদিন আমলকি হেয়ার ক্লিনজার দিয়ে ম্যাসাজ করলেই হবে। তা হলে খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।