ওটস পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ একটি শস্য। এতে প্রচুর ফাইবার ও অ্যাভিন্যানথ্রামাইড থাকে, যা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ কার্যকর। আগে গবাদিপশু ও ঘোড়ার খাবার হিসেবে ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যাপক ব্যবহৃত হতো। ওটস চাষে এখন রাশিয়া, কানাডা ও পোল্যান্ড এগিয়ে আছে।
যদিও পশ্চিমা দেশগুলোয় ওটসের ব্যাপক পরিচিতি বহুকাল ধরেই। তবে স্বাস্থ্য রক্ষায় এর অজস্র গুণাগুণের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর গন্ডি ছাড়িয়ে বাংলাদেশ ও আশেপাশের এশিয়ান অঞ্চলগুলোতেও বাড়ছে ওটস খাওয়ার হার। চলুন জেনে নেই ওটসের উপকারিতাগুলোঃ
১. উচ্চ রক্তচাপ কমায়
ওটসে অনেক ধরণের প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপকে কম করতে সাহায্য করবার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
২. কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
ওটস এল ডি এল কোলেস্টরল (LDL cholesterol) কে নিয়ন্ত্রিত করে, যার ফলে হার্ট সম্পর্কিত অনেক সমস্যা কম হয়ে যায় সাথে হৃদরোগের আশঙ্কাও অনেক কমে যায়।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ওটস ওজন কম করার সাথে সাথে রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। একই সাথে ওটসের মধ্যে থাকা ফাইবার ইনসুলিনের মাত্রাকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই জন্য একটু বয়স্ক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওটস খাওয়া অত্যন্ত লাভদায়ক।
৪. ওজন কমায়
ওটসে ফাইবারের মাত্রা বেশি পরিমাণে থাকাতে আমরা যদি সকালে ওটস খেতে পারি তাহলে সারাদিন আমাদের পেট ভর্তি থাকে যার ফলে আর ভারী কোনো খাবার খাওয়ার আমাদের প্রয়োজন হয় না।তাই যারা পুষ্টি সঠিক রেখে নিজেদের ওজন কম করতে চাইছেন তাদের জন্য ওটস একটি সঠিক পুষ্টিকর খাবার।
৫. ত্বকের সুরক্ষা
ওটসকে অনেক ধরণের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে প্রাকৃতিক হার্ব হিসাবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ত্বকের ঔজ্জ্বল্যের পাশাপাশি একজিমা থেকেও ত্বককে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
আজকাল আমরা সব থেকে বেশি সমস্যায় থাকি আমাদের কনস্টিপেশন সমস্যা নিয়ে। এর কারণ হলো আমাদের অনিয়মিত জীবনযাপন আর সাথে সঠিক খাবার না খাওয়া। কিন্তু আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে যদি প্রতিদিন সঠিক মাত্রায় ওটসমিল নিতে থাকেন তাহলে তা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে একটি ভালো উপায়।