দাঁতের যত্নে টুথব্রাশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই ব্রাশ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হবে অনেক বেশি। দাঁত পরিষ্কার করার ব্রাশ ঠিক কত দিন পর পর বদলানো প্রয়োজন তা অনেকেরই অজানা। টুথব্রাশগুলো তৈরি করা হয় একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করার জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করলে দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অনেক সময়ই বোঝা কঠিন যে, ঠিক কখন দাঁত পরিষ্কার করার ব্রাশটি বদলানো উচিত। ব্রাশ প্রস্তুকারক এবং চিকিৎসক উভয় পক্ষের মতেই টুথব্রাশ প্রতি ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পরপরই বদলানো উচিত। অর্থাৎ সাধারণ টুথব্রাশ কিংবা ইলেকট্রিক টুথব্রাশ যা-ই হোক না কেন তিন থেকে চার মাস অন্তর ব্রাশ বদলানো উচিত।
অনেকেই ব্রাশ একবারেই পুরনো না হলে বদলাতে চান না। এতে দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দাঁত, মাড়ি ও মুখের অভ্যন্তরীণ অংশ। তাই ব্রাশ পুরোপুরি নষ্ট না হলেও তিন থেকে চার মাস ব্যবহারের পরই বদলে ফেলুন সেটি।
টুথব্রাশের যত্ন
দাঁতের পরিচ্ছন্নতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি টুথব্রাশের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন, তাহলেই সুরক্ষিত থাকবে আপনার টুথব্রাশ-
একজনের টুথব্রাশ অন্য কেউ ব্যবহার করা উচিত নয়। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সাথেও টুথব্রাশ ভাগাভাগি করা যাবে না। যদি আপনার টুথব্রাশ অন্য টুথব্রাশের সাথে একই কাপ বা পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় তবে খেয়াল রাখুন ব্রাশের মাথা একটি অন্যটিকে যাতে স্পর্শ না করে। ব্রাশ করার পরে টুথব্রাশটি পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ধুয়ে ফেলুন।
জ্বর সেরে গেলে
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জ্বর থেকে সেরে ওঠার পরে টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত।
নিয়মমাফিক টুথব্রাশ না বদলালে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। এমনটাই বলা হয়েছে ‘সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’-এর রিপোর্টে। তবে এটাও বলে হয়েছে, টুথব্রাশে যে ধরনের জীবাণু থাকে সেগুলো মুখের ভিতর বা কণ্ঠনালীর সংক্রমণ যতটা ঘটায় তার চেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে অন্ত্র বা শরীরের অন্যত্র। নিয়মমাফিক টুথব্রাশ না বদলালে তাতে পেটের সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে।